নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় এক যুবককে বলাৎকার এর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় ঘটনায় প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫/৬ জন নেতাকে বেদম পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। 

 

সোমবার (১০ মার্চ) রাতে বন্দর উপজেলার শাহি মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আহত জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা জুবায়ের সহ ৫/৬ জন গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন জুবায়ের, শিথিল ভূইয়া, মাহমুদুল হাসান, সিয়াম মাহমুদ, মৃদুল, ইসরাফিলকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 

 

এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত হোসেন অন্তু বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে আসামী করা হয়েছে বন্দর সালেনগর এলাকার বাবু শিকদার, কালা পারভেজ, রাব্বি, আল আমিন, জুয়ারী বাবু, ফরহাদ, আরিফ, মশিউর রহমান মশু, নাঈম সহ ৭/৮ জন। 

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর শাহি মসজিদ এলাকার মঞ্জু মিয়ার ছেলে সাঈদ তার রুমে নিয়ে বলাৎকার করে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতারা শালিসের মধ্যে সমাধান করার চেষ্টা করে। এই নিয়ে সোমবার রাতে বিএনপি নেতা সাহেব আলীর অফিসে বৈঠক বসে। এমন খবর পেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লোকজন গিয়ে তার প্রতিবাদ করায় বাবু শিকদার সহ আরো লোকজন তাদের উপর হামলা চালায় এবং বেদম মারধর করে। 

 

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, বলাৎকারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লোকজনদের মারধর করার ঘটনায় একটা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। সেটারও তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

টেলিভিশনে কার্টুন দেখানোর কথা বলে বাড়িতে এনে দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা

টেলিভিশনে কার্টুন দেখানোর কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে সাত বছরের দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় জনতা ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

গ্রেপ্তার মমিনুর ইসলাম (৫৪) পেশায় একজন ছাগল ব্যবসায়ী। ঘটনার পর রাতে ভুক্তভোগী এক শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়।

ভুক্তভোগী দুই শিশুকে গতকাল রাতে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাড়ির সামনে রাখা একটি স্কুলভ্যানের ওপর ওই দুই শিশু খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী মমিনুর ইসলাম তাঁর বাড়িতে টেলিভিশনে কার্টুন দেখানোর কথা বলে ওই দুই শিশুকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। ওই দুজনকে নিয়ে তিনি ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন। পাশের বাড়ির এক শিশু ইফতারি দিতে এসে এ ঘটনা দেখে এবং ভুক্তভোগী এক শিশুর বাড়িতে জানায়। ওই শিশুর পরিবারের সদস্য মমিনুরের বাড়িতে আসেন। তখন শিশু দুটি ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসে। ঘটনা জানাজানি হলে মমিনুর ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে এলাকার লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশে দেন।

ওসি মমতাজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সাত বছরের দুই শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। রাতে এক শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। আটক মমিনুর ইসলামকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আসামিকে আজ বুধবার দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ