বন্দরে ১০ দিন ধরে মধ্য বয়সী নারী খালেদা নিখোঁজ
Published: 11th, March 2025 GMT
বাসা থেকে বের হয়ে বন্দরে খালেদা বেগম (৩৫) নামে এক মধ্য বয়সী নারী গত ১০ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ বৃদ্ধা খালেদা বেগম বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত দীল মোহাম্মদ পাঠানের মেয়ে।
গত শনিবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দাস্থ নিজ বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে রাস্তা উদ্দেশ্যে বের হয়ে ওই নারী নিখোঁজ হয়। অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করে নিখোঁজের কোন হদিস না পেয়ে এ ব্যাপারে নিখোঁজের বড় ভাই আজিমুল্লাহ পাঠান বাদী হয়ে নিখোঁজ ঘটনার ৯ দিন পর গত সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে বন্দর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করেন।
যার জিডি নং- ৪৭৫ তাং- ৯-৩-২০২৫ ইং। পুলিশ জিডি পেয়ে নিখোঁজ বৃদ্ধা নারী সন্ধান পাওয়ার জন্য উদ্ধার অভিযান অব্যহত রেখেছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নববর্ষকে রাঙাতে হাডুডু খেললেন মানিকগঞ্জের প্রবীণরা
শামসুল আলমের বয়স ৬৫। এই বয়সে তিনি খেলতে নামেন হাডুডু। তার উদ্দীপনা দেখে এলাকার কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে সবাই তাকে দিয়েছেন উৎসাহ। শুধু তিনি একা নন, তার মতো ষাটোর্ধ্ব দুই ডজন প্রবীণ নববর্ষের উৎসবকে রাঙাতে খেলেছেন বাংলাদেশের জাতীয় খেলা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় হাডুডু খেলার উদ্বোধন করেন কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালাম বাদল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকদলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাঈদ। খেলা শেষে অতিথিরা খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
প্রবীণ খেলোয়ার শাসসুল আলম বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাগো উৎসব। এদিন হাডুডু খেলবার পাইরা খুব ভালো লাগতাছে। জোয়ান বয়সে কত দুরান্তপানা করছি। আজক্যা সব বুইড়াড়া একসঙ্গে হাডুডু খেললাম, খুব ভালো লাগতেছে।”
আরো পড়ুন:
ড্রোন শোতে ঝলমলে ঢাকার আকাশ
ডিআরইউতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত
পরিবার নিয়ে মানিকগঞ্জ শহরের দাশড়া এলাকা থেকে হাডুডু খেলা দেখতে আসা তৌফিক হোসেন বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিকে ধারণ করে আছে গ্রাম বাংলার অসংখ্য খেলাধুলা। আমার চার বছরের ছেলে খেলা দেখে আনন্দ পেয়েছে। এ ধরনের গ্রামীন খেলাধুলার চর্চা আরো বেশি আয়োজন করা প্রয়োজন।”
খেলা দেখতে আসা ইকবাল মাহমুদ বলেন, “যারা খেলতে নেমেছেন তাদের সবার বয়স ষাটের বেশি। এই বয়সেও তাদের খেলার প্রতি ঝোকই প্রমাণ করে হাডুডু আমাদের খেলা, পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতি। এই খেলা রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্য গোলাম কিবরিয়া সাঈদ বলেন, “সংস্কৃতি ও খেলাধুলার চর্চা সঠিকভাবে হলে মাদকসহ অসামাজিক কার্যকলাপ কমে যায়। নববর্ষের সঙ্গে গ্রামীন খেলাধুলার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। হাডুডু খেলা পহেলা বৈশাখের আনন্দকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামীতে এ ধরনের আয়োজন আরো বাড়াতে হবে।”
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ