জোরপূর্বক ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করে বার বার গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে খুলনায় মফিজ শেখ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাতে তেরখাদা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। 

গ্রেপ্তার মফিজ তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালী গ্রামের মো.

নজরুল শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনেও একাধিক মামলা রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, “আসামি মফিজ শেখ (৪০) গত এক বছর আগে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এবং কৌশলে মোবাইলে ভিডিও করে রাখে। পরবর্তীতে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করতে থাকে। সর্বশেষ গত ২৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে সে তেরখাদার কুমিরডাঙ্গা গ্রামে বাদির বসত বাড়ির শয়নকক্ষে ঢুকে শারিরিক মেলামেশার ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ার হুমকি দিয়ে আবারও ধর্ষণ করে।”

তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ (৩১) বাদী হয়ে সোমবার দিবাগত রাতে তেরখাদা থানায় মামলা দায়ের করেন। সোমবার দিবাগত রাতে তেরখাদার হাড়িখালী এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে মফিজ শেখকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

টেলিভিশনে কার্টুন দেখানোর কথা বলে বাড়িতে এনে দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা

টেলিভিশনে কার্টুন দেখানোর কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে সাত বছরের দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় জনতা ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

গ্রেপ্তার মমিনুর ইসলাম (৫৪) পেশায় একজন ছাগল ব্যবসায়ী। ঘটনার পর রাতে ভুক্তভোগী এক শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়।

ভুক্তভোগী দুই শিশুকে গতকাল রাতে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাড়ির সামনে রাখা একটি স্কুলভ্যানের ওপর ওই দুই শিশু খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী মমিনুর ইসলাম তাঁর বাড়িতে টেলিভিশনে কার্টুন দেখানোর কথা বলে ওই দুই শিশুকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। ওই দুজনকে নিয়ে তিনি ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন। পাশের বাড়ির এক শিশু ইফতারি দিতে এসে এ ঘটনা দেখে এবং ভুক্তভোগী এক শিশুর বাড়িতে জানায়। ওই শিশুর পরিবারের সদস্য মমিনুরের বাড়িতে আসেন। তখন শিশু দুটি ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসে। ঘটনা জানাজানি হলে মমিনুর ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে এলাকার লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশে দেন।

ওসি মমতাজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সাত বছরের দুই শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। রাতে এক শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। আটক মমিনুর ইসলামকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আসামিকে আজ বুধবার দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ