নারী নির্যাতন প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দপ্তরে হটলাইন চালু করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল চারটা থেকে চালু হওয়া এ হটলাইনে আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত ১০৩টি অভিযোগ এসেছে।

আজ পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রাপ্ত অভিযোগের যেসব ক্ষেত্রে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাকে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। যেগুলোর ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিকার প্রয়োজন হয়নি, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হটলাইনে জমা পড়া ১০৩ অভিযোগের মধ্যে ৬২টি অভিযোগ অপ্রাসঙ্গিক (যেমন কারও টেলিফোন নম্বর চাওয়া, বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তারের নাম ও মোবাইল নম্বর চাওয়া ইত্যাদি)। হটলাইনের নম্বর ০১৩২০০০২০০১, ০১৩২০০০২০০২, ০১৩২০০০২২২২। পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে এতে অপ্রাসঙ্গিক অভিযোগ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাদরাসাছাত্র হত্যা: সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় লালবাগে মাদরাসাছাত্র হত্যা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল ও আসামিদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার পলায়নের একদিন পর গত বছরের ৬ আগস্ট ভোরে লালবাগ থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় বিজয় মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। ওই মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গুলি চালালে মাদরাসাছাত্র শাহেনুর রহমান (১৯) গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই মো. মাজেদুল ইসলাম লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
 
গত বছরের ১৪ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে সোলাইমান সেলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে অনেকগুলো হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ড ভোগ করছেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ