অবহেলার অভিযোগে ম্যারাডোনার সাত চিকিৎসকের বিচার শুরু
Published: 11th, March 2025 GMT
মহামারি চলছিল তখন পৃথিবীতে। করোনার ভয়াল থাবায় এমনিতেই ঘরে আটকে পড়েছিল মানুষ। যাঁদের ঘরে কেউ নেই, তাঁরা হয়ে পড়েছিলেন আরও নিঃসঙ্গ।
নিঃসঙ্গ ছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনাও। সবে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে অস্ত্রোপচার করিয়ে এসেছেন। বুয়েনস এইরেসে যে বাড়িতে থাকতেন ৬০ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি, সেখানে তাঁকে দেখভাল করার কয়েকটা লোক ছাড়া কাছের আর কেউ ছিলেন না। তাঁর চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্যজনিত বিষয়গুলো দেখতেন নিয়মিত। এ রকম এক সময়ে ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর হঠাৎ ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর নাড়িয়ে দেয় সারা বিশ্বকে।
আরও পড়ুনম্যারাডোনার চিকিৎসায় অবহেলার বিচার শুরু আগামী সপ্তাহে০৭ মার্চ ২০২৫অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু, নাকি অবহেলা ছিল তাঁর চিকিৎসকদের, এমন প্রশ্ন ওঠে এরপর। যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অবশেষে যেতে হয়েছে আদালত পর্যন্ত। শেষ দিনগুলোতে তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন যে আটজন চিকিৎসক, তাঁদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলাজনিত অপরাধের অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে আজ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের ৮ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদ্রো আদালতে হাজির হয়েছিলেন ম্যারাডোনার মেয়ে দালমা ম্যারাডোনা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবহ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জাফর এক্সপ্রেসে জিম্মি ১০৪ যাত্রীকে উদ্ধার, ১৬ জঙ্গি নিহত
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি থাকা ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসময় অভিযানে অন্তত ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, এখনো অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনারা। এর আগে মঙ্গলবার জঙ্গিরা রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।
সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, ব্যালুচিস্তানের বলান জেলায় জাফর এক্সপ্রেসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে জিম্মি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ১৭ জন আহত যাত্রীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। অন্য যাত্রীদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশওয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পর, সন্ত্রাসীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যায়। আক্রমণকারীরা তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।
জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে তাদের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং নারী-শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া এলাকার কঠিন ভূ-প্রকৃতি অভিযানকে আরও জটিল করে তুলছে।
আক্রমণকারীরা ট্রেনের উপর আক্রমণ করার আগে রেলপথে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা লোকোমোটিভে গুলি চালিয়েছিল, যার ফলে চালক আহত হন। ট্রেনটি একটি সুড়ঙ্গের ঠিক আগে থেমে যায়। আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একটি দুর্গম, পর্বতাঞ্চলীয় এলাকায় ট্রেনটি তারা দখলে নেয়। ট্রেনটিতে নারী ও শিশুসহ ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলো।