সড়কের পাশে পড়ে ছিল ওষুধের কার্টন, ভেতরে মিলল নবজাতকের লাশ
Published: 11th, March 2025 GMT
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় একটি সড়কের পাশে পড়ে থাকা ওষুধের কার্টন থেকে পলিথিনে মোড়ানো এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস–সংলগ্ন প্রধান সড়কের পাশ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেল পৌনে চারটার দিকে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের দক্ষিণ–পশ্চিমে রিয়াজুল জান্নাহ মাদ্রাসা–সংলগ্ন প্রধান সড়কের পাশে একটি ওষুধের কার্টন পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। কৌতূহলী লোকজন কার্টন ফাঁক করে দেখেন, ভেতরে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় একটি নবজাতকের লাশ। লাশটি মেয়ে নবজাতকের। তাৎক্ষণিক তাঁরা বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে নবজাতকের লাশ উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজনের খবরের ভিত্তিতে এক দিন বয়সী এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হবে। উদ্ধার করা লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অসময়ে ব্রহ্মপুত্রে ভাঙন, ঝুঁকিতে বসতভিটা
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ১০ দিনে বিলীন হয়েছে সাতটি বসতভিটা, ১১০ বিঘা ফসলি জমিসহ গ্রামীণ সড়ক। এ ছাড়া ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে রসুলপুর মারকাজ জামে মসজিদ, রসুলপুর আলহাজ রোস্তম আলী নূরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও রসুলপুর ঈদগাহ মাঠসহ বসতভিটা। এমন চিত্র কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার।
সরেজমিন দেখা গেছে, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ায় অসময়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। অনেকের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদে বিলীন হয়ে গেছে। এবারই প্রথম নয়, কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের শিকার হচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ। বছরের পর বছর ভাঙনে বসতভিটা ও আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেকে। এ ছাড়া আগে ভাঙন দেখা দিত বর্ষা মৌসুমে। এখন ভাঙছে শুষ্ক মৌসুমে। পানির স্রোত নেই। অথচ ভাঙছে নদের পার।
ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের শিকার হয়েছেন বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার নুর আলম, আব্দুল বারেক, রায়হান, আব্দুর রশিদ, হেলাল উদ্দিন, রুহুল আমিন, নায়েব আলী ও সাহেব আলী। তারা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সময় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। এ কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। অসময়ে দেখা দিয়েছে ভাঙনের তীব্রতা। এতে তাদের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন ঠেকাতে না পারলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন।
ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, গত ১০ দিনে ব্রহ্মপুত্রে বিলীন হয়ে গেছে তাঁর বসতবাড়িসহ ৯ জনের সাতটি বসতবাড়ি ও প্রায় ১১০ বিঘা জমি। এখন শুকনো মৌসুম। এই সময়ে ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে আরও ক্ষতি হবে। তাঁর দাবি, ৩০ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে। কিন্তু এখানে মাত্র ৫০০ জিওব্যাগ দেওয়া হয়েছে।
কথা হয় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিষয়টি জেনেছেন তিনি। তাঁর কাছে অনেকে ভাঙন এলাকার ছবিও পাঠিয়েছেন। ভাঙন রোধে ৫০০ জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। পরে আরও ৫০০ জিওব্যাগ বরাদ্দ হয়েছে।