মানিকগঞ্জে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিন বছরের শিশুকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকালে অভিযুক্তকে টাঙ্গাইল শহর থেকে আটক করেছে মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশ। 

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার মানিকগঞ্জের আটিগ্রামে পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারা। এসময় তিন বছরের ওই শিশুকে ১৩ বছরের স্কুলছাত্র যৌন নিপীড়ন করে। 

পরে বিষয়টি ওই শিশুর মা টের পেয়ে টাঙ্গাইল ফিরে যান। রবিবার শিশুটিকে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে শিশুকে চিকিৎসক দেখার পর সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। 

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক খন্দকার সাদিকুল রহমান বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে সখীপুর হাসপাতাল থেকে টাঙ্গাইলে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় শিশুটি৷ শিশুটির সোয়াপ সংগ্রহ করা হয়েছে। মেয়েটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে।” 

শিশুরটি মা বলেন, “বি‌য়ের অনুষ্ঠা‌নের রাতে আমার মেয়ের সাথে সঙ্গে অন‌্যায় কাজ করা হয়েছে।”

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এসএম আমানুল্লাহ বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে শিশুটির বাবা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি আমরা তদন্ত করছি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার আমাদের একটি টিম টাঙ্গাইল থেকে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসছেন। তাদের বাড়ি মানিকগঞ্জে হলেও শিশুটির পিতা টাঙ্গাইলের সখীপুরে চাকরি করে। সে সুবাদে ঘটনার পর তারা টাঙ্গাইলের সখীপুরে চলে আসেন।”

ঢাকা/কাওছার/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন কগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

হঠাৎ ট্রেন দেখে ‘হতবিহ্বল’ যুবদল নেতা রেললাইনে শুয়ে পড়েন, কাটা পড়ে মৃত্যু

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় রেললাইনে বসে মুঠোফোনে কথা বলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঘোড়াশাল পৌরসভার চামড়াব এলাকায় রেলক্রসিংসংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম নোয়াব মিয়া (৪৮)। তিনি নরসিংদী সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চৌয়া গ্রামের বাসিন্দা ও একই ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

রেলওয়ে পুলিশ ও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে ঘোড়াশালের চামড়াব রেলক্রসিংসংলগ্ন এলাকায় রেললাইনে বসে নোয়াব মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর এগারোসিন্দুর ট্রেনটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ওই ট্রেনে কাটা পড়েন নোয়াব। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে পাওয়া তাঁর মানিব্যাগের ভেতর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র খুঁজে পান। পরে নোয়াবের স্বজনদের খবর দিলে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের বিভিন্ন অংশ বাড়ি নিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী লোকজনের ভাষ্যের ভিত্তিতে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম বলেন, রেললাইনে বসে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন এক ব্যক্তি। ট্রেনটি খুব কাছাকাছি চলে আসার পর তিনি বিষয়টি খেয়াল করেন। হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। কী করতে হবে, বুঝতে না পেরে তিনি রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন। এর মধ্যেই তাঁর শরীর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ