কক্সবাজারে এক মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ আসিফ মহিউদ্দিনের আদালতে আসামি তার দোষ স্বীকার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

ইলিয়াস খান।

গ্রেপ্তার আসামি তারেকুল ইসলাম (২৭)। তিনি কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ফরিদের ছেলে।

সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলে শহরের ঝাউতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, ওই মার্কিন নারীর স্বামী জাতিসংঘের একটি সংস্থায় কক্সবাজার কার্যালয়ে কর্মরত, তিনি স্বামীর কর্মসূত্রে কক্সবাজারে থাকছেন। সোমবার সকাল ৮টার দিকে ওই নারী শহরের সার্কিট হাউস সড়কে হাঁটতে বের হন। এ সময় অভিযুক্ত তারেকুল ইসলাম তাকে অনুসরণ করেন এবং কাছে গিয়ে সখ্য গড়ে তোলার চেষ্টা চালান। এক পর্যায়ে তিনি জোর করে ওই নারীকে জড়িয়ে ধরেন। এরপর ওই নারী চিৎকার করলে তারেকুল পালিয়ে যান।

পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান শুরু করে। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা পর সোমবার বিকেল ৫টার দিকে শহরের ঝাউতলা এলাকা থেকে তারেকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে হাজির করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ওসি মো. ইলিয়াস খান জানান, সোমবার রাতে মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার তারেকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়ায় পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। সেসময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলেও পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

ঢাকা/তারেকুর/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক ল ইসল ম স মব র শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

জাফর এক্সপ্রেসে জিম্মি ১০৪ যাত্রীকে উদ্ধার, ১৬ জঙ্গি নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি থাকা ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসময় অভিযানে অন্তত ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।

সর্বশেষ পাওয়া খবরে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, এখনো অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনারা। এর আগে মঙ্গলবার জঙ্গিরা রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।

সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, ব্যালুচিস্তানের বলান জেলায় জাফর এক্সপ্রেসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে জিম্মি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ১৭ জন আহত যাত্রীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। অন্য যাত্রীদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।

জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশওয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।

নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পর, সন্ত্রাসীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যায়। আক্রমণকারীরা তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।

জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে তাদের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং নারী-শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া এলাকার কঠিন ভূ-প্রকৃতি অভিযানকে আরও জটিল করে তুলছে।

আক্রমণকারীরা ট্রেনের উপর আক্রমণ করার আগে রেলপথে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা লোকোমোটিভে গুলি চালিয়েছিল, যার ফলে চালক আহত হন। ট্রেনটি একটি সুড়ঙ্গের ঠিক আগে থেমে যায়। আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একটি দুর্গম, পর্বতাঞ্চলীয় এলাকায় ট্রেনটি তারা দখলে নেয়। ট্রেনটিতে নারী ও শিশুসহ ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলো। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ