হঠাৎ ছাই ও ধোঁয়ায় ঢেকে গেল চারপাশ
Published: 11th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অবস্থিত কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে হঠাৎ ছাই ও কালো ধোঁয়া বের হয়ে চারপাশ ঢেকে দেয়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ বিকেলে কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এভাবে ধোঁয়া নির্গত হতে দেখে অনেকে দুর্ঘটনা বা অগ্নিকাণ্ড ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে অল্প সময়ের মধ্যে ধোঁয়া কমে গেলে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, আজ বিকেল ৪টা ২৭ মিনিটে ফ্লাই অ্যাশ সরবরাহ করার সময় অ্যাশ সাইলোর একটি পরিদর্শন দরজা খুলে যায়। ওই সময় কিছু ছাই বাইরে বের হয়ে পড়ে। কোনো বিষাক্ত রাসায়নিক না থাকায় এতে জনস্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয়নি। ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে ছাই নির্গমন দরজা বন্ধ করা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমও চালু থাকে।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রাজু ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা সম্পর্কে কোনো ধরনের তথ্য না আসায় সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
জানতে চাইলে এস এস পাওয়ার ওয়ান লিমিটেডের চিফ কো-অর্ডিনেটর ফয়জুর রহমান বলেন, অ্যাশ সাইলোর একটি পরিদর্শন দরজা খুলে যাওয়ায় কিছু ছাই বাইরে বের হয়ে পড়ে। ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে সমস্যা সমাধান করা হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৭০ শতাংশের মালিকানা এস আলম গ্রুপের, বাকি ৩০ শতাংশের মালিকানা সেপকো ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন ও এইচটিজি ডেভেলপমেন্ট গ্রুপের হাতে রয়েছে। এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট দেশের প্রথম বেসরকারি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরে হাতকড়াসহ ২ আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আটক ২৭
মাদারীপুরের কালকিনিতে ইয়াবাসহ আটক দুই যুবককে হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় আহত হন ৪ পুলিশ সদস্য।
আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ছিনিয়ে নেওয়া আসামিদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কালকিনি পৌরসভার মাছ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনির মাছ বাজার এলাকা থেকে ইয়াবাসহ আটক দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। তাদের হাতে হাতকড়া পরানোর পর পুলিশের ওপর হামলা চালায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশের কাছ থেকে আসামিদের ছিনিয়ে নেয় তারা। এ সময় চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
আহতরা হলেন, কালকিনি থানার এসআই আবুল বাশার, এএসএই সোহেল রানা, কাজী কাজী স্বপন ও আতিকুল ইসলাম। ছিনিয়ে নেওয়া আসামিরা হল কালকিনি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঠ্যাঙ্গামারা গ্রামের সিরাজ খানের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাশেদুল খান (৩৫)। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামাল বাকামিনের বড় ভাই ও একই এলাকার মোস্তফা সরদারের ছেলে আল আমিন সরদার (৩০)। আল আমিনের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে. এম সোহেল রানা বলেন, দুই আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৭ জনকে আটক করে যাচাই-বাছাই চলছে। জড়িত না হলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে সমকালকে জানান, সন্ধ্যায় কালকিনি থানার এসআই আবুল বাশারের নেতৃত্বে কালকিনি বাজারের বড়ব্রিজ এলাকা থেকে ৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় আল আমিন সরদার ও রাশেদুল খানকে। হাতকড়া পরিয়ে বড়ব্রিজ থেকে মাছবাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এ সময় কালকিনি থানার এসআই আবুল বাশার, এএসএই সোহেল রানা, কাজী কাজী স্বপন ও আতিকুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা। পরে হাতকড়া পড়া অবস্থায় ছিনিয়ে নেওয়া হয় আটক দুই যুবককে। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, কালকিনি থানা পুলিশ ও জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ যৌথ অভিযানে নামে। এই ঘটনায় আলাদা দুটি মামলা করবে পুলিশ।