বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল এমএজি ওসমানী ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রাথমিকভাবে এ বছর তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে। 

যেহেতু কোনো বাংলাদেশির দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার একাধিকবার পাওয়ার নজির নেই, তাই এ ধারণা বাদ দেওয়া হয়। ফলে এ বছর আর জেনারেল এম এ জি ওসমানীকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ হওয়ার পর বেশ কিছু মহল থেকে জেনারেল ওসমানীর স্বাধীনতা পুরস্কার না প্রাপ্তির বিষয়ে আক্ষেপ করা হয়। অনেকেই দাবি জানান, তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওসম ন

এছাড়াও পড়ুন:

জিনদের আহার্য

মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)

আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।

গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গোবর বা হাড় নাপাকি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করো না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাবার।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮)

আরও পড়ুনকোরআন শুনে একদল জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন০৬ আগস্ট ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ