বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আগামী দিনে ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবেন। 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে কোরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

ছাত্রশিবিরের ‘শহীদ দিবস’ উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও কোরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ক্যাম্পাসে আসেন সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এই অনুষ্ঠান শেষে তিনি ছাত্রদলের কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী, রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সবসময় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন মন্তব্য করেন জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ কিন্তু অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা অনেক সময় নষ্ট করেছি। সবসময়ই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দূরদর্শী, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গঠনের দিকে ছিলেন। ৭১ পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক সমস্যা ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমানের দূরদর্শিতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ তার অবস্থান শক্তভাবে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ৭১-এর পরে পার্শ্ববর্তী দেশের পরিকল্পনার মাধ্যমে ইসলামকে মুছে দেওয়ার একটি গভীরতম নীল নকশা করা হয়েছিল। সেটিও মিশিয়ে দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’
 
জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার যে আপসহীন চরিত্র সেটি এখনও পর্যন্ত ওনাকে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত রেখেছে। আমরা চাই আগামী দিনে ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ যারাই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবেন। রাজনীতির মাঠে একেকজনের আদর্শ, চিন্তা, বক্তব্য আলাদা থাকবে এটাই রাজনৈতিক সৌন্দর্য। কিন্তু দিনশেষে দেশটা আমার, আপনাদের ও আমাদের সকলের। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সবার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’

শিবিরের নেতা-কর্মীকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘যখন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা উঠিয়ে দিয়েছিল, তখন আপনারা কি করেছিলেন? যখন বিভিন্ন আলেম কুরআনের অপব্যাখ্যা করে তখন আপনারা ভোটের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেন না। কিন্তু ইসলামি ছাত্র সংগঠন হিসেবে এসব বিষয়ে আপনাদের কথা বলা উচিত।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ হ দ ল ইসল ম ছ ত রদল র অন ষ ঠ ন র রহম ন ক রআন

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আগামী দিনে ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবেন। 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে কোরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

ছাত্রশিবিরের ‘শহীদ দিবস’ উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও কোরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ক্যাম্পাসে আসেন সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এই অনুষ্ঠান শেষে তিনি ছাত্রদলের কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী, রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সবসময় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন মন্তব্য করেন জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ কিন্তু অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা অনেক সময় নষ্ট করেছি। সবসময়ই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দূরদর্শী, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গঠনের দিকে ছিলেন। ৭১ পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক সমস্যা ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমানের দূরদর্শিতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ তার অবস্থান শক্তভাবে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ৭১-এর পরে পার্শ্ববর্তী দেশের পরিকল্পনার মাধ্যমে ইসলামকে মুছে দেওয়ার একটি গভীরতম নীল নকশা করা হয়েছিল। সেটিও মিশিয়ে দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’
 
জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার যে আপসহীন চরিত্র সেটি এখনও পর্যন্ত ওনাকে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত রেখেছে। আমরা চাই আগামী দিনে ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ যারাই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবেন। রাজনীতির মাঠে একেকজনের আদর্শ, চিন্তা, বক্তব্য আলাদা থাকবে এটাই রাজনৈতিক সৌন্দর্য। কিন্তু দিনশেষে দেশটা আমার, আপনাদের ও আমাদের সকলের। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সবার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’

শিবিরের নেতা-কর্মীকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘যখন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা উঠিয়ে দিয়েছিল, তখন আপনারা কি করেছিলেন? যখন বিভিন্ন আলেম কুরআনের অপব্যাখ্যা করে তখন আপনারা ভোটের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেন না। কিন্তু ইসলামি ছাত্র সংগঠন হিসেবে এসব বিষয়ে আপনাদের কথা বলা উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ