বনানীতে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক চালকের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুরে
Published: 11th, March 2025 GMT
ঢাকার বনানীতে নারী পোশাক শ্রমিককে চাপা দেওয়ার পিকআপটির মালিক ও চালকের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায়।
মিরপুর উপজেলার ধুবাইল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড লক্ষিধরদিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. টিটন ইসলাম। টিটনের পিতা মো. রহিদুল ইসলাম স্থানীয় বাজারের এক চায়ের দোকানদার।
গতকাল সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৬টা ৪১ মিনিটের দিকে বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকায় কলাবোঝাই একটি পিকআপের চাপায় মিনা আক্তার নামের এক নারী পোশাকশ্রমিক নিহত হন।
এর প্রতিবাদে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেন। তারা বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ থেকে মহাখালীর আমতলী পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেন। এতে দুই পাশের সড়কে শত শত গাড়ি আটকে পড়ে। প্রায় সাত ঘণ্টা পর শ্রমিকেরা সড়ক ছাড়লে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এ ঘটনায় ঘটনায় ঘাতক ট্রাকচালককে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবাইল এলাকায় সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিটনের পিতা রহিদুল ইসলাম একজন চা বিক্রেতা। চা বিক্রি করে তিন ছেলেকে বড় করেছেন তিনি। তারা একদমই সাধারণ জীবন যাপন করে। কোন রাজনৈতিক দলের সাথেও তাদের পরিবারের কেউ সম্পৃক্ত না। ধার-দেনা করে পিকআপ গাড়ী কেনেন রহিদুল ইসলাম।
টিটনের প্রতিবেশিরা জানায়, টিটন খুবই ভালো ছেলে। সে খুব কঠোর পরিশ্রম করে। যখন গাড়ির ভাড়া থাকে না তখন কৃষি শ্রমিক হিসেবেও কাজ করে। এছাড়া বাবার সাথে চায়ের দোকানেও মাঝে মাঝে কাজ করে। তবে দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি চালালেও এর আগে কখনো দুর্ঘটনা ঘটেনি তার।
ধুবাইল ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চা বিক্রেতা রহিদুল ইসলাম খুবই সাধারণ জীবনযাপন করে। তাদের অভাবের সংসারে দুই ছেলে কৃষিকাজ করে এবং টিটন পিকআপ গাড়ি চালায়।
ঢাকা/কাঞ্চন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তেজগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছয় দফা দাবি আদায়ে ঢাকার তেজগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। সড়ক অবরোধকারীদের মধ্যে সরকারি–বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ-টিএসসিসহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতাভুক্ত শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।
এসময় দাবি আদায়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, “এর আগে আমাদের দাবি পূরণে আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজ করা হয়নি। অনতিবিলম্বে আমাদের দাবি পূরণ করা না হলে আরো কঠোর আন্দোলন করা হবে।”
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো—জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিল করতে হবে। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং একাডেমিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।
উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রীয়, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোয় অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ ও সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা’ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করতে হবে। এছাড়া, পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নত মানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতাভুক্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা/রায়হান/ইভা