সাদা শর্ষের রুই রাঁধবেন যেভাবে, দেখুন রেসিপি
Published: 11th, March 2025 GMT
উপকরণ
রুই মাছ দেড় কেজি, সাদা শর্ষে ২০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ ৫টি, লবণ পরিমাণমতো, কাজুবাদাম ৫-৬টি, ভাজা চিনাবাদাম এক মুঠ, ব্লেন্ড করার জন্য পানি আধা কাপ, কাঁচা মরিচ চিরে নেওয়া ১টি, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ, ফুটন্ত গরম পানি ১ কাপ, শর্ষের তেল দেড় কাপ, পোস্ত ১৫ গ্রাম, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা টেবিল চামচ।
প্রণালি
আঁশ ছাড়িয়ে চায়নিজ কাটে মাছটি কেটে নিন। মাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ছাঁকনিতে সাদা শর্ষে রেখে পানিতে ধুয়ে নিন। ধোয়া শর্ষে কুসুম গরম পানিতে মিনিট দশেক ভিজিয়ে রাখুন। ব্লেন্ডারে শর্ষে, কাঁচা মরিচ, লবণ, পোস্ত, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম দিয়ে দুই–তিনবারে ব্লেন্ড করে মিহি পেস্ট করে নিন। পেস্টটি বাটিতে রাখুন। মাছে লবণ মাখিয়ে নিন। চুলায় প্যান দিন। তেল দিন। গরম হলে মাছ দিয়ে এপিঠ–ওপিঠ ভেজে তুলুন। হালকা ভাজুন। কড়া হবে না। এই তেলেই কাঁচা মরিচ দিন। এবার পেঁয়াজবাটা দিয়ে দিন। অল্প নেড়ে কষিয়ে আদা ও রসুনবাটা দিয়ে আবার কষান। গরম পানি দিন। আগে থেকে করা পেস্টটি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। বলক ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার সাবধানে মাছ বিছিয়ে দিন। আন্দাজমতো লবণ দিন। মিনিট তিনেক পর মাছ উল্টিয়ে দিন। ঝোল টেনে এলে লবণ চেখে দেখুন। ১ চা-চামচ শর্ষের তেল ছড়িয়ে চুলা বন্ধ করুন। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুনআচারি ছোলার রেসিপি২২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জাফর এক্সপ্রেসে জিম্মি ১০৪ যাত্রীকে উদ্ধার, ১৬ জঙ্গি নিহত
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি থাকা ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসময় অভিযানে অন্তত ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, এখনো অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনারা। এর আগে মঙ্গলবার জঙ্গিরা রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।
সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, ব্যালুচিস্তানের বলান জেলায় জাফর এক্সপ্রেসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে জিম্মি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ১৭ জন আহত যাত্রীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। অন্য যাত্রীদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশওয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পর, সন্ত্রাসীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যায়। আক্রমণকারীরা তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।
জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে তাদের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং নারী-শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া এলাকার কঠিন ভূ-প্রকৃতি অভিযানকে আরও জটিল করে তুলছে।
আক্রমণকারীরা ট্রেনের উপর আক্রমণ করার আগে রেলপথে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা লোকোমোটিভে গুলি চালিয়েছিল, যার ফলে চালক আহত হন। ট্রেনটি একটি সুড়ঙ্গের ঠিক আগে থেমে যায়। আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একটি দুর্গম, পর্বতাঞ্চলীয় এলাকায় ট্রেনটি তারা দখলে নেয়। ট্রেনটিতে নারী ও শিশুসহ ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলো।