নতুন ১৮ ওয়ার্ডে অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
Published: 11th, March 2025 GMT
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, “ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে অবকাঠামো উন্নয়ন অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। নতুন ওয়ার্ডগুলোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই এলাকায় অনেক কাজ করতে হবে। উন্নয়ন কাজ ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু নতুন ওয়ার্ড থেকে আমরা নামমাত্র রাজস্ব পাচ্ছি। অনেকের মধ্যে প্রশ্ন হচ্ছে আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা পাইনা, আমরা কেন ট্যাক্স দিবো? আমাদের তো আসলে আপনাদের ট্যাক্সের বিনিময়েই সেবাগুলো নিশ্চিত করতে হবে। আপনারা এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।”
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে গুলশান নগরভবনে সম্মেলন কক্ষে ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে গণশুনানিতে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এসব কথা বলেন।
গণশুনানিতে নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের আওতাধীন স্কুলকলেজের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, বাজার কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও নেতা, সোসাইটির নেতা, যুবক ও ছাত্র প্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন:
স্ত্রী-কন্যাসহ খাইরুজ্জামান লিটনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থা
ডিএনসিসিকে কারিগরি সহায়তা দেবে লন্ডনের টিএফএল
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, “ডিএনসিসিতে পূর্বের ৩৬টি ওয়ার্ডের সঙ্গে নতুনভাবে আরও ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে, ওয়াসা থেকে খালগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিন্তু কোন লোকবল ও যান যন্ত্রপাতি পায়নি ডিএনসিসি। সিটি কর্পোরেশন ভাগ হওয়ার সময় যে লোকবল ছিল বর্তমানে তারচেয়ে আরো কমেছে। অনেকে অবসরে গেছেন, অনেকে মারা গেছেন। সীমিত লোকবল ও যান যন্ত্রপাতি দিয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষের সেবা নিশ্চিত করাও ডিএনসিসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। লোকবল নিয়োগের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
একজন বাসিন্দার প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, “সেবা প্রদানে ডিএনসিসির কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছি। কোনো অনিয়ম, দুর্নীতির প্রমাণ পেলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মশা নিধন কার্যক্রম সম্পর্কে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, “মশা নিধন সিটি কর্পোরেশনের একটি বড় চ্যালেঞ্জিং কাজ। সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে মশা নিধন কার্যক্রম সম্ভব নয়। সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণের সহযোগিতা ও সচেতনতা প্রয়োজন। আমাদের সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা নিয়মিত মশার ওষুধ দিচ্ছে, পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবুও মশা নিয়ন্ত্রণে নেই। কারণ অনেক ক্ষেত্রে আমাদের কর্মীরা বিভিন্ন বাসা বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে না, নিরাপত্তাজনিত কারণে আমাদের কর্মীদেরকে বিল্ডিংয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়না। আমরা অনেক ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি দুই বাড়ির মাঝখানে জানালা দিয়ে ময়লা ফেলে দিচ্ছে। বাড়ির গেটের ভিতরে জানলা দিয়ে ময়লা ফেলছে। যেগুলো আমাদের কর্মীরা পরিষ্কার করতে পারে না এবং মশক কর্মীরা সেসব জায়গায় লার্ভিসাইডিং করতে পারে না। ফলে বাসাবাড়ির ভিতরেই মশা উৎপাদন হচ্ছে। অবশ্যই নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে।নিজেদের বাড়ির বাউন্ডারির ভিতরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।”
এ সময় তিনি আরো বলেন, “আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা অনেক ক্ষেত্রেই বাড়িতে বা ভবনে লার্ভা পেলে মোবাইল কোর্টে আর্থিক জরিমানা করছে কিন্তু এতে স্থায়ী সমাধান হবে না। নিজেরা সচেতনতা না হলে বারবার এই অভিযান করেও মশা নিধন সম্ভব নয়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। মশা নিধনের পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা নিয়েও আমরা কাজ করছি। আমাদের মহাখালীতে যে হসপিটাল রয়েছে সেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিতে পারবে। সেবার মান বাড়ানো জন্য আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিব।”
নতুন এলাকায় খাস বা সরকারি সংস্থার খালি জমিতে মাঠ ও পার্ক নির্মাণ করা হবে বলে উল্লেখ করে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, “নতুন ওয়ার্ডে অপরিকল্পিত উন্নয়ন শুরু হয়েছিল। যে যার মতো করে ভবন নির্মাণ করেছে। ড্যাপে অনেক জায়গায় খালি দেখানো রয়েছে। রাজউকের সাথে সমন্বয় করে সেগুলো রক্ষা করবো। ড্যাপে নির্ধারিত মাঠ, পার্ক ও খালি জায়গায় কেউ কোন ধরনের অবকাঠামো ভবন নির্মাণ করতে পারবে না। যেখানে খাস জমি আছে সেখানে আমরা জেলা অফিসের সাথে এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলাপ করে মাঠ ও পার্ক করে দিব।”
গণশুনানিতে অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো.
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এনস স ন শ চ ত কর ড এনস স র কর মকর ত ব যবস থ র কর ম কর ম র আম দ র অন ক ক ল কবল
এছাড়াও পড়ুন:
নৌবাহিনী নেবে নাবিক ও এমওডিসি, পদ ৪০০, দ্রুত আবেদন করুন
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২০২৫-বি ব্যাচে নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) পদে জনবল নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নৌবাহিনীতে ডিই বা ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল), প্যাট্রোলম্যান, রাইটার, স্টোর, মেডিকেল, কুক, স্টুয়ার্ড, টোপাস ও এমওডিসি (নৌ) পদে লোকবল নিয়োগ করা হবে। এসব পদে মোট ৪০০ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
কোন শাখায় কতজন
ডিই বা ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল) পদে ২৮৫ জন, প্যাট্রোলম্যান ১২ জন, রাইটার ১৮ জন, স্টোর ১৮ জন, মেডিকেলে ১০ জন, কুক ২৫ জন, স্টুয়ার্ড ১৩ জন, টোপাস পদে ১৩ জন ও এমওডিসি (নৌ) পদে ৭ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
যোগ্যতা
ডিই বা ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল) পদে আবেদনের জন্য বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ-৩.৫০ নিয়ে পাস হতে হবে। তবে এসএসসি পরীক্ষায় উচ্চতর গণিতধারী প্রার্থী এবং বিএন ডকইয়ার্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে ন্যূনতম ‘এ’ গ্রেডপ্রাপ্ত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
প্যাট্রোলম্যান, রাইটার, স্টোর ও এমওডিসি (নৌ) পদের জন্য যেকোনো বিভাগ থেকে কমপক্ষে জিপিএ-৩.০০ নিয়ে এসএসসি পাস। মেডিকেল পদে আবেদনের জন্য জীববিজ্ঞানসহ এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কমপক্ষে জিপিএ-৩.৫০ নিয়ে পাস করতে হবে। কুক ও স্টুয়ার্ড পদের জন্য যেকোনো বিভাগ থেকে কমপক্ষে জিপিএ-২.৫০ নিয়ে এসএসসি পাস এবং টোপাস পদের জন্য কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।
শারীরিক যোগ্যতা
সিম্যান ও এমওডিসি (নৌ) পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীর উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, প্যাট্রোলম্যান পদে আবেদনের জন্য উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি ও অন্যান্য পদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন উচ্চতা হতে হবে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। উচ্চতার পাশাপাশি প্রতিটি পদের ক্ষেত্রেই আবেদনকারীর বুকের মাপ সাধারণ অবস্থায় ৩০ থেকে ৩২ ইঞ্চি এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় ২ ইঞ্চি বেশি হতে হবে। ওজন হতে হবে উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী এবং চোখের দৃষ্টি হতে হবে ৬/৬।
অন্যান্য যোগ্যতা
আগ্রহী প্রার্থীদের বাংলাদেশি পুরুষ নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। এ ছাড়া প্রার্থীর সাঁতার জানা আবশ্যক। ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে নাবিক পদের জন্য বয়স ১৭ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এমওডিসি (নৌ) পদের জন্য বয়স ১৭ থেকে ২২ বছর।
অযোগ্যতা
বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশে প্রচলিত আইনে কেউ গ্রেপ্তার, দোষী সাব্যস্ত, বন্দী, আটক অথবা কোনো মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আদালতে বিচারাধীন থাকলে আবেদন করতে পারবেন না। এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনী অথবা সরকারি চাকরি থেকে অপসারিত বা বহিষ্কৃত হলে এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে আবেদন করা যাবে না।
যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেইলর সেকশন/অ্যাপ্লাই নাউ অপশনে ক্লিক করে প্রথমে প্রাক্-যোগ্যতা যাচাই করতে হবে। যাচাই শেষে অ্যাপ্লাই নাউ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর প্রার্থীকে ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে। যেকোনো ব্যাংকের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড (ভিসা, মাস্টার কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, নেক্সাস) এবং মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, নগদ, রকেট, ট্যাপ, ওকে ওয়ালেট) ইত্যাদির মাধ্যমে ৩০০ টাকা জমা দিতে হবে। টাকা জমা দেওয়ার পর সঠিক তথ্য দিয়ে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। তথ্য যাচাই করে ‘জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করে ‘নাবিক ১’ ফরমটি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে। পরীক্ষার দিন ফরমটি সঙ্গে আনতে হবে।
বাছাইপ্রক্রিয়া
অনলাইনে আবেদনকারীদের সব সার্টিফিকেট, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আবেদনপত্রসহ নিজ জেলার জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। প্রার্থীর সব কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে প্রথমে তাঁকে প্রাথমিক নির্বাচন করা হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ইংরেজি, বাংলা, গণিত, বিজ্ঞান এবং সাধারণ জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা বিষয়ের ওপর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীর চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনতিন বছর পর সমবায় অধিদপ্তরের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি, পদ ৫১১ ২০ মার্চ ২০২৫সুযোগ-সুবিধা
সরকার-নির্ধারিত অন্যান্য সুবিধাসহ সশস্ত্র বাহিনীর বেতনক্রম অনুযায়ী, বেতন ও ভাতা দেওয়া হবে। বিনা মূল্যে পোশাক, থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার সুবিধা, পারিবারিক রেশন সুবিধা, অবসর গ্রহণকালে অবসরভাতা, গ্র্যাচুইটির সুবিধা, চাকরিকালীন যোগ্যতার ভিত্তিতে নন-কমিশন্ড অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও বিশেষ যোগ্যতার ক্ষেত্রে কমিশন্ড অফিসার পদে পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে অথবা পঙ্গু হলে বিমার সুবিধা ও পরিবারের জন্য আর্থিক সুবিধা, বিদেশে প্রশিক্ষণ, নৌবাহিনীর জাহাজে বিদেশে শুভেচ্ছা সফর, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিদেশ ভ্রমণের মাধ্যমে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জনের সুযোগ, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে চাকরির সুযোগ, নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশে বাসস্থান পাওয়ার সুযোগ; সামরিক হাসপাতালে উন্নত মানের চিকিৎসাসুবিধা ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বিধি মোতাবেক নগদ অর্থ প্রদানসহ বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।
বিস্তারিত জানতে
নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা যাবে এই ঠিকানায়-পরিচালক, পার্সোনেল সার্ভিসেস পরিদপ্তর, নৌবাহিনী সদর দপ্তর, বনানী, ঢাকা-১২১৩। ফোন: ০২-৯৮৩৬১৪১-৯, বর্ধিত ২২১৫। মুঠোফোন নম্বর: ০১৭৬৯-৭০২২১৫। ওয়েবসাইট।
আবেদনের শেষ সময়: ১২ এপ্রিল ২০২৫।