মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে ৪ হাজার ৪৬ কোটি টাকা কাজ পেয়েছে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় জি টু জি ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কার্য এবং পণ্য ক্রয় কার্যক্রমের বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এ প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়েছে। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৪৬ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ পেয়েছে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)।

‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ৪ হাজার ৬৮ কেটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে চীন সরকারের প্রকল্প ঋণ ৩ হাজার ৫৯২ কোটি ৮৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং সরকারি অর্থায়ন ৪৭৫ কোটি ৩২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।

এছাড়া সভায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠান মেসার্স এক্সেলারেট এনার্জি এলপি থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৬৬৪ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ৩০ মার্কিন ডলার। ১৫ বছরের জন্য এলএনজি কিনতে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেলারেট এনার্জির সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। এর ফলে মার্কিন কোম্পানিটির কাছ থেকে প্রতি বছর ১০ লাখ টন এলএনজি কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রকল প অন ম দ

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য: ভারতীয় নাগরিক ও তাঁর চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ভারতীয় ব্যবসায়ী ও তাঁর মালিকানাধীন চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের অপরিশোধিত তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তরের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ–সংক্রান্ত কার্যালয়ের (ওএফএসি) তথ্য অনুসারে, ভারতীয় নাগরিক জুগবিন্দর সিং ব্রার একাধিক শিপিং কোম্পানির মালিক। এসব কোম্পানিতে সব মিলে প্রায় ৩০টি জাহাজ আছে। এর অনেকগুলোই ইরানের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ব্রারের পাশাপাশি তাঁর মালিকানাধীন যে চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো, ভারতভিত্তিক গ্লোবাল ট্যাংকার্স, বিঅ্যান্ডপি সলিউশনস এবং আরব আমিরাতভিত্তিক প্রাইম ট্যাংকার্স ও গ্লোরি ইন্টারন্যাশনাল। ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগে’ ট্রাম্প প্রশাসনের চলমান পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এমন চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে ইরানি স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাঁচ দফায় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ইরানের তেল–বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচারণা শুরুর আগেও কয়েকটি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। যেমন গত অক্টোবরে ভারতভিত্তিক গাব্বারো শিপ সার্ভিসেসকে ইরানি তেল পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে, রাশিয়ার আর্কটিক এলএনজি ২ প্রকল্প থেকে এলএনজি পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের নিবন্ধিত তিন শিপিং সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। প্রকল্পটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে ওএফএসি ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিভিন্ন দেশের ৩০–এর বেশি ব্যক্তি ও বিভিন্ন জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে ভারতভিত্তিক চারটি প্রতিষ্ঠান আছে। গত মার্চে ইরান থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কেনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভিযোগে একটি চীনা শোধনাগারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছে শোধনাগারটি।

ওএফএসি বলছে, ব্রারের যে চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেগুলোর মালিকানাধীন জাহাজ দিয়ে ইরানের তেল বহন করা হতো। ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি (এনআইওসি) ও ইরানি সেনাবাহিনীর হয়ে তেল আনা নেওয়ার কাজ করত এগুলো।

ইরানের তেল–বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচারণা শুরুর আগেও কয়েকটি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। যেমন গত অক্টোবরে ভারতভিত্তিক গাব্বারো শিপ সার্ভিসেসকে ইরানি তেল পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে, রাশিয়ার আর্কটিক এলএনজি ২ প্রকল্প থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের নিবন্ধিত তিনটি শিপিং সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। প্রকল্পটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য: ভারতীয় নাগরিক ও তাঁর চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা