ভারত ‘আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫’ এর ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের পেছনে ফেলে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা জায়গা করে নিয়েছে ফাইনালে। আগামী ১১ থেকে ১৫ জুন লন্ডনের ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। কিন্তু ফাইনালে স্টেডিয়ামে কানায় কানায় দর্শক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে টিকিটের দাম কমিয়েছে আয়োজকরা। আর তাতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা।

জানা গেছে, ভারতের অনুপস্থিতির কারণে আয়োজকদের প্রায় ৪.

৮ মিলিয়ন ডলার অথাৎ প্রায় ৬৩ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।  

‘দ্য টাইমস’ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, আয়োজকরা প্রথমে টিকিটের দাম বেশি রেখেছিল। কারণ, তারা মনে করেছিলেন যে ভারত ফাইনালে উঠলে তাদের বিশাল ফ্যানবেজের টিকিটের চাহিদা তুলনামূলক বেশি হবে। কিন্তু ভারত ফাইনালে উঠতে না পারায় ‘মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)’ প্রত্যাশিত আর্থিক লাভ করতে পারছে না।

আরো পড়ুন:

মুশফিকুরের থেকে তামিমের চাওয়া ‘অন্তত ১০০ টেস্ট’

দুই উইকেটের জয়ে প্রথমবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারত টানা তৃতীয়বারের মতো ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছানোর বড় দাবিদার ছিল। কিন্তু শেষ পর্বে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তারা ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ০-৩ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর, বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১-৩ ব্যবধানে সিরিজ হারে। তাতে ফাইনালে ওঠার লড়াই থেকে ছিটকে যায় ভারত।

ভারতের ফাইনালে খেলার বিষয়টি নিশ্চিত ধরেই এমসিসি প্রথমে টিকিটের দাম প্রিমিয়াম পর্যায়ে নির্ধারণ করেছিল। কারণ, আয়োজকরা বিশ্বাস করতেন যে ভারতীয় দর্শকদের চাহিদা বিশাল হবে এবং তারা স্টেডিয়ামের বড় অংশ পূর্ণ করবে। কিন্তু ভারত ফাইনালে যেতে না পারায় এমসিসি সিদ্ধান্ত নেয় টিকিটের দাম কমিয়ে পুরো স্টেডিয়াম ভরানোর।

টিকিটের দাম পুনঃনির্ধারণ করে ৪০ থেকে ৯০ পাউন্ড করা হয়েছে। যা পূর্বনির্ধারিত দামের চেয়ে প্রায় ৫০ পাউন্ড কম। এতে আয় কম হলেও দর্শকদের সংখ্যা ধরে রাখা যাবে। স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হবে।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট স ট চ য ম প য়নশ প র ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ী হচ্ছেন সবাই

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। আগামী ১৬ এপ্রিল সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে। 

আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচনে অংশ নিতে তারা ফরম নিতে পারেননি। ফরম নিতে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানান তারা।

গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ছিল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সবগুলো পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন:

নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার না রাখার কথা ভাবছে ইসি

বাপ ডাইক্কা নির্বাচন দেওন লাগব, বললেন বিএনপির ফজলুর রহমান

মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট তারিক আহমদ জানান, ২১টি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে সবগুলোই উৎরে গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সবাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

মনোননয়ন জমা দেওয়া ২১টি পদের মধ্যে ১৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী মো. সিরু, অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পাঠাগার সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফী বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন এবং সদস্য আহসান উল্লাহ, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, মেজবাহ উল আলম, রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, রাহিলা গুলশান ও সাজ্জাদ কামরুল হোসেন।

সাতটি পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, সহ-সম্পাদক ফজলুল বারী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল জব্বার এবং সদস্য শাহেদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, রোবায়তুল করিম ও মোহাম্মদ মোরশেদ।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী আইনজীবী মো. আবদুর রশীদ লোকমান বলেন, “নির্বাচনে অংশ নিতে আমরা ফরম নিতে পারিনি। দুপুর ও বিকেলে আমরা দুই দফায় সমিতির লাইব্রেরি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছি।” 

বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, “আমরা ২১ জন ফরম নিয়েছি। অন্যরা ফরম না নিলে আমাদের তো কিছু করার নেই। তাদের সৎ সাহস নেই। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় যারা ছাত্র-জনতার ওপর লাঠি নিয়ে হামলা করেছিল, তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।”

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ