বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দিতে লন্ডনের মুরফিল্ড আই হাসপাতাল থেকে ২ জন বিশেষায়িত চক্ষু চিকিৎসক ঢাকায় এসেছেন। তারা হলেন- ডা. মাহি মুকিত এবং ডা. নিয়াজ ইসলাম। চিকিৎসকরা গত ৮ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত চক্ষু রোগীদের চোখের ফলোআপ ও অপারেশন করেন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানায়।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎকরা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে মোট ১১৫ জন রোগীকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন এবং ২৩ জন রোগীর সার্জারি করেন।

চিকিৎসার নথিপত্র যাচাই করে চিকিৎসকরা কয়েকটি মতামত জানান। সেগুলো হলো -

১.

বাংলাদেশের চক্ষু চিকিৎসকরা যে সেবা দিয়েছেন তা সঠিক এবং বিশ্বমানের।

২. এই ধরনের রোগীদের লন্ডন, ইউকে’তে একইভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়ে থাকে।

৩. চোখের ভিতরের গুলি যে পদ্ধতিতে অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ সঠিক।

৪. কিছু পিলেট চোখের বাহিরে, মাথা, মুখমণ্ডল এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে রয়েছে। সেগুলোর ব্যাপারে তারা বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন।

৫. ভবিষ্যতে প্রয়োজনে তারা এই চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।

চক্ষু বিশেষজ্ঞরা চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে সেবা দেওয়া শেষে আজ দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে তারা স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে তাদের কাজ সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত করেন।

এ সময় চক্ষু চিকিৎসক ডা. মাহি মুকিত জানান, আন্দোলনে আহতদের যথাযথ মানসিক ট্রমার চিকিৎসার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়া অনেক রোগী পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে আছেন। এভাবে ইনস্টিটিউশনালাইজড হয়ে থাকা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যাদের চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে তারা তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাতে পারেন। এ সময় যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি হসপিটাল বার্নিংহামের ডা. মোসলেহ উদ্দিন ফরিদ এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইনস ট ট

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরার শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আব্দুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে। তার অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। 

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

আব্দুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ শিশুটির বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আজও তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিশুটির শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে। তবে শ্বাসরোধের কারণে তার মস্তিকে অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল। মস্তিষ্কে পানি জমে গিয়েছিল, যেটা অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তার বুকের মধ্যে যে বাতাস জমে ছিল সেটা দূর করা গেছে। চিকিৎসকরা আশাবাদী দুই এক দিনের মধ্যে শিশুটির অবস্থার আরও উন্নতি হবে।

উল্লেখ্য, মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির চিকিৎসা চলছে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) প্যাডিয়াট্রিক আইসিইউতে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আহত হৃতিক রোশান
  • অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তি ও পঙ্গু হাসপাতালের কর্মীদের মারামারি, বন্ধ ছিল জরুরি বিভাগের সেবা
  • সন্তান হত্যার বিচারের আগে মা হিসেবে কোনো নির্বাচন আশা করব না
  • পঙ্গু হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের মারামারি
  • নিটোরে কর্মীদের সঙ্গে জুলাই আহতদের মারামারি
  • মাগুরার শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে
  • নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে
  • রণক্ষেত্র রণভূমি, ১৮ গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩০
  • জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের সহায়তার জন্য অধিদপ্তর হচ্ছে