পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে মে মাসের মাঝামাঝিতে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠেয় ‘সাগরমাথা সম্বাদ’ সংলাপে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরজু রানা দেউবা।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।

ঢাকার নেপাল দূতাবাস জানায়, ১৬-১৮ মে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠেয় ‘সাগরমাথা সম্বাদ’ সংলাপ ফোরামে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

তৌহিদ হোসেনকে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরজু রানা দেউবার পাঠানো আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেছেন রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।

এ সময় তারা দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষ‌য়ে বি‌শেষ ক‌রে বাণিজ্য, এনার্জি, সংযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পর্যটন ইস্যুতে আলোচনা ক‌রেন। এছাড়া, সার্ক, বিমসটেক এবং বিবিআইএনসহ আঞ্চলিক এবং উপ-আঞ্চলিক কাঠামো থেকে পারস্পরিক সুবিধা পাওয়ার বিষ‌য়ে আলোচনা হয়।  

সাগরমাথা সম্বাদ হলো নেপাল সরকার কর্তৃক বহু অংশীজনকে নিয়ে একটি  বৈশ্বিক সংলাপ ফোরাম। নেপালে প্রথমবারের মতো এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট আমন ত

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিজের মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে বাবাকে (৪৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ড পাওয়া বাবা রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। রায়ের পর পুলিশি পাহারায় প্রিজন ভ্যানে আদালত থেকে তাঁকে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এম এম শাহজাহান প্রথম আলোকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় তার বাবাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। সমাজে এ ধরনের ঘৃণিত অপরাধ আর যেন না হয়, এটা তাঁর আশা।

২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অবিযোগে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে ওই কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিন পর স্বামীর বাড়িতে তার পেটে ব্যথা ও বমি বমি অনুভূত হয়। এরপর তাঁর স্বামী ওষুধ এনে খাওয়ালেও কোনো উপকার হয়নি। পরে পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারেন যে তিনি ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী তার মাকে জানায় যে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর বাড়িতে গেলে বাবা তাঁকে ধর্ষণ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ