ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। বর্তমান ওল্ড ট্রাফোর্ডের কাছেই নির্মাণ করা হবে নতুন এই ওল্ড ট্রাফোর্ড।

স্টেডিয়াম নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ বিলিয়ন পাউন্ড বা প্রায় ৩১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। নতুন স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ হলে পুরনো ওল্ড ট্রাফোর্ড ভেঙে ফেলা হবে। নতুন এই স্টেডিয়ামে এক লাখ দর্শক বসে খেলা দেখতে পারবে।

ম্যানইউ-এর অন্যতম মালিক স্যার জিম র‌্যাটক্লিফ জানিয়েছেন, ক্লাবটির নতুন এই স্টেডিয়ামটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্টেডিয়াম। এটির নির্মাণ কাজ পাঁচ বছরে শেষ হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১৯১০ সাল থেকে ওল্ড ট্রাফোর্ডকে তাদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করছে। ১১৫ বছরের এই স্টেডিয়াম সুযোগ-সুবিধার বিচারে অন্যদের থেকে পিছিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাটক্লিফ, ‘বর্তমান স্টেডিয়াম গেল ১১৫ বছর ধরে অসাধারণ সার্ভিস দিয়ে এসেছে। কিন্তু বৈশ্বিক বিবেচনায় এটা পেছনে পড়ে রয়েছে।’

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বর্তমানে ১ বিলিয়ন পাউন্ডের মতো ঋণে ডুবে আছে। ২ বিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে স্টেডিয়াম নির্মাণের এতো অর্থ রেড ডেলিভসরা কীভাবে পাবে তা নিয়েও জল্পনা আছে। ম্যানইউ-এর মাঠের পারফরম্যান্স ভালো হলে তাও একটা কথা ছিল।

ক্লাবটির ওমার বের্রাদা জানিয়েছেন, নতুন স্টেডিয়াম মানে এটি বিনোয়োগের ভালো সুযোগ। তারা আশা করছেন, আইকনিক এই স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য তারা প্রয়োজনীয় ফান্ড সংগ্রহে সক্ষম হবেন।     

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এই স ট ড য় ম

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাগ চলচ্চিত্র উৎসবে ‘নট আ ফিকশন’

 

চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের কিনো পাইলট থিয়েটারে আগামী ২৩ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রাগ চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫। যেখানে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছে তিনটি অস্কার এবং দুটি কানাডিয়ান স্ক্রিন এওয়ার্ডস কোয়ালিফাইং উৎসব ঘুরে আসা চলচ্চিত্র ‘নট আ ফিকশন’।

এ উৎসবের মধ্য দিয়ে এক শটের এই সিনেমাটির ইউরোপিয়ান প্রিমিয়ার হবে; যার প্রযোজক, পরিচালক এবং চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন তরুণ নির্মাতা শাহনেওয়াজ খান সিজু। পুরস্কারের জন্য ‘নট আ ফিকশন’কে লড়তে হবে ২০২৫ সালের অস্কারজয়ী সেরা লাইভ অ্যাকশন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আই অ্যাম নট অ্যা রোবট’ এবং অন্যান্য দেশের ছবিগুলোর বিপরীতে। 

ইউরোপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই উৎসবের বিশেষ একটি বিভাগ হচ্ছে ‘ভয়েসেস অব ডিসট্যান্ট ল্যান্ডস’– এই বিভাগটি এমন সিনেমাগুলোকে সম্মান জানায়, যা প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও মানবিক ইস্যুগুলো নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে। এ বছর সারাবিশ্ব থেকে মোট ৫টি দেশের চলচ্চিত্র এই বিভাগে মনোনীত হয়েছে, যেখানে ‘নট আ ফিকশন’-এর সুবাদে এশিয়া মহাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ‘নট আ ফিকশন’ মূলত একটি ঐতিহাসিক দলিল, যা গত দুই যুগে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ঘটে যাওয়া অসংখ্য বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলে।

নির্মাতা সিজুর সঙ্গে নট আ ফিকশনের সহপ্রযোজক হিসেবে কাজ করছেন চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক সাদিয়া খালিদ রীতি এবং লাইলি বেগম। সিনেমায় অভিনয় করেছেন জউদয়ন রাজীব, নাঈমুল আলম মিশু, ঐশিক সামি আহমেদ, রুদ্রনীল আহমেদ, জাওয়াদ সৌধ এবং মিথুন। ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন আহসান স্বরণ এবং সৈয়দ তামুর হাসান। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ