এতিমখানার ২৬০ শিশুর জন্য ইফতারের আয়োজন করল প্রথম আলো
Published: 11th, March 2025 GMT
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জামিয়া আম্বর শাহ আল ইসলামিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার শিশুদের জন্য ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করেছে প্রথম আলো।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে প্রথম আলোর প্রশাসন বিভাগের পক্ষ থেকে এতিমখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ২৬০ শিশুর জন্য ইফতারি ও রাতের খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়।
ইফতারির প্যাকেটে ছিল খেজুর, বেগুনি, ছোলা, পেঁয়াজু, আলুর চপ, মুড়ি, জিলাপি ও জুস। আর রাতের খাবার হিসেবে দেওয়া হয় কাচ্চি বিরিয়ানি।
ইফতারের আগে এতিমখানায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আম্বর শাহ শাহি জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক মাওলানা মো.
মোনাজাতে দেশ ও প্রথম আলোর সার্বিক কল্যাণ ও উন্নতি কামনা করা হয়। পাশাপাশি ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
মোনাজাত শেষে এতিম শিশুদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক, হেড অব হিউম্যান রিসোর্স মো. শামীম খান, হেড অব মার্কেটিং আজওয়াজ খান, ডেপুটি হেড অব আইটি মো. মনোয়ার আজম, প্রশাসন বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এ বি এম খায়রুল কবির, প্রশাসন বিভাগের নির্বাহী মো. আতিকুর রহমান প্রমুখ।
জামিয়া আম্বর শাহ আল ইসলামিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার শিশুদের জন্য ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করে প্রথম আলো। ইফতারের আগে দোয়া ও মোনাজাতে শিশুরা। কারওয়ান বাজার, ঢাকা, ১১ মার্চউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জাফর এক্সপ্রেসে জিম্মি ১০৪ যাত্রীকে উদ্ধার, ১৬ জঙ্গি নিহত
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি থাকা ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসময় অভিযানে অন্তত ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, এখনো অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনারা। এর আগে মঙ্গলবার জঙ্গিরা রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।
সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, ব্যালুচিস্তানের বলান জেলায় জাফর এক্সপ্রেসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে জিম্মি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ১৭ জন আহত যাত্রীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। অন্য যাত্রীদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশওয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পর, সন্ত্রাসীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যায়। আক্রমণকারীরা তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।
জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে তাদের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং নারী-শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া এলাকার কঠিন ভূ-প্রকৃতি অভিযানকে আরও জটিল করে তুলছে।
আক্রমণকারীরা ট্রেনের উপর আক্রমণ করার আগে রেলপথে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা লোকোমোটিভে গুলি চালিয়েছিল, যার ফলে চালক আহত হন। ট্রেনটি একটি সুড়ঙ্গের ঠিক আগে থেমে যায়। আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একটি দুর্গম, পর্বতাঞ্চলীয় এলাকায় ট্রেনটি তারা দখলে নেয়। ট্রেনটিতে নারী ও শিশুসহ ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলো।