রোয়াংছড়ি উপজেলার খামতাম পাড়া এলাকায় খেয়াং সম্প্রদায়ের এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার সকালে রাস্তার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা অভিযুক্ত জামাল হোসেনকে (৩২) আটক করে এলাকাবাসীর কাছে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানায়, ১৬ বছর বয়সী খেয়াং কিশোরী মানসিক প্রতিবন্ধী। সে প্রতিদিন বিকেলে পাড়ার আশপাশে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরে।  প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার বিকেলে রোয়াংছড়ি-রুমা উপজেলা রাস্তায় ঘুরতে বের হয়। কিন্তু সেদিন কিছুটা রাত হলেও আর বাড়িতে ফেরেনি।  

এলাকাবাসী আরও জানায়, ওই এলাকায় রোয়াংছড়ি-রুমা উপজেলা সংযোগ সড়কে নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে নিয়োজিত আছে ১৮-২০ জন শ্রমিক। সন্ধ্যার দিকে পাড়ার পাশে কবরস্থানের কাছাকাছি কিশোরীকে একা পেয়ে শ্রমিক মো.

জামাল হোসেন ওই কিশোরীকে টেনে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। পরে রাত নামলে কিশোরীর চিৎকার শুনে পাড়াবাসী জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিশোরীর কথায় পাড়াবাসী নিশ্চিত হয় এক নির্মাণ শ্রমিক তাকে ধর্ষণ করেছে। এরপর রাতভর বেশ কয়েকজন মিলে জঙ্গলের ভেতরে খোঁজাখুঁজি করে কিন্তু অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি।

সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন শ্রমিক বলেন, পাড়ার একটি মেয়েকে আমাদের একজন শ্রমিক ধর্ষণ করেছে বলে জানতে পেরেছিলাম। কিন্তু এ কাজ কে করেছে তা জানতাম না। পরে রাতে দেখি মো. জামাল হোসেন নামে এক শ্রমিক আমাদের সঙ্গে ঘুমাতে আসেনি।  ভোরের দিকে কাজের জায়গায় অভিযুক্ত জামাল পৌঁছালে শ্রমিকরা সবাই মিলে তাকে আটক করে পাড়াবাসীর কাছে তুলে দেয়।

খামতাম পাড়ার কয়েকজন জানান, জামালকে পাওয়ার পর এলাকাবাসী তাকে মারধর করে। এরপর গলায় জুতার মালা পরিয়ে পুরো পাড়া তাকে ঘুরানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্ত জামালকে তাদের কাছে সোপর্দ করে।

রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আশিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত জামালকে পাড়াবাসী পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে রোয়াংছড়ি থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এল ক ব স

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভালো নেই’ জানিয়ে দোয়া চাইলেন সাবেক আইজিপি শহীদুল হক

কারাগারে ‘ভালো নেই’ জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন পুলিশের সাবেক আইজিপি শহীদুল হক। 

বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে তিনি একথা বলেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে সাজেদুর রহমান ওমর নামে এক ব্যক্তি নিহতের মামলায় শহীদুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য রাখেন। আজ শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। 

এরপর তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন শহীদুল হক বলেন, ‘ভালো নেই। দোয়া করবেন।’

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ফুটওভার ব্রিজের নিচে ছাত্রজনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। বিকেলে আসামিদের আক্রমণে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শহীদুল হককে। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান তিনি।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাভারে দিনদুপুরে আবার চলন্ত বাসে নারী যাত্রীদের স্বর্ণালংকার ছিনতাই
  • ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে ইনজুরিতে বাভুমা
  • রেকর্ড, রেকর্ড ও রেকর্ড
  • সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন, ‘এগুলো ওঠাও’
  • জ্যোতির প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ইতিহাস
  • টানা চার জয়ে শীর্ষে গুজরাট
  • বার্সেলোনার তাণ্ডবে ডর্টমুন্ড বিধ্বস্ত, সেমিফাইনালে এক পা
  • কুষ্টিয়ায় চালকল মা‌লিক স‌মি‌তির সভাপ‌তির বা‌ড়ি লক্ষ‌্য ক‌রে গু‌লি
  • হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড
  • ‘ভালো নেই’ জানিয়ে দোয়া চাইলেন সাবেক আইজিপি শহীদুল হক