‘ভারত দুবাইয়ের বাইরে খেললেও চ্যাম্পিয়ন হতো’
Published: 11th, March 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ হয়েছে দুই দিন আগে; কিন্তু একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা এখনো চলছে। সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলায় বিশাল সুবিধা পেয়েছে ভারত—টুর্নামেন্ট শুরুর পর থেকেই এমন দাবি জানিয়ে এসেছেন কেউ কেউ।
ভারতীয় দল সব ম্যাচ এক ভেন্যুতে খেলায় কোনো রকম ভ্রমণঝক্কি পোহাতে হয়নি। সেখানকার কন্ডিশন ও পিচ সম্পর্কেও তারা স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগকারীর তালিকায় আছেন ইংল্যান্ডের সাবেক তিন ক্রিকেটার ডেভিড লয়েড, মাইকেল আথারটন ও নাসের হুসেইন এবং অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
শেষ পর্যন্ত ভারতই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দুবাইয়ে গত রোববারের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রোহিত শর্মার দল। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ ও সেমিফাইনালেও প্রতিপক্ষরা ভারতীয়দের খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি।
কিন্তু দুই কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার ও ওয়াসিম আকরাম মনে করেন, ভারতের এই দল এতটাই শক্তিশালী ও ভারসাম্যপূর্ণ যে দুবাইয়ের বাইরে খেললেও তারাই চ্যাম্পিয়ন হতো।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত নিজেদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলেছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববাজারে সোনার দাম ৩,৭০০ ডলারে উঠতে পারে: গোল্ডম্যান স্যাক্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের জেরে বিশ্ববাজারে যেভাবে সোনার দাম বাড়ছে, তাতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৭০০ ডলারে উঠতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান মার্কস।
এর আগের তাদের পূর্বাভাস ছিল আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৩০০ ডলার। শুধু তা–ই নয়, তারা বলছে, সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৬৫০ ডলার থেকে ৩ হাজার ৯৫০ ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে পারে। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদা ও সোনাভিত্তিক ইটিএফ তহবিলে বিনিয়োগ বাড়বে—এই অনুমানের ভিত্তিতে এই পূর্বাভাস দিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাক্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, এর মধ্যে মন্দা হলে বছরের শেষ নাগাদ সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৮৮০ ডলারে উঠতে পারে। গত শুক্রবার এই নোটে এই পূর্বাভাস দিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাক্স।
গোল্ডম্যান স্যাক্স আরও বলেছে, এ পরিস্থিতিতে নীতিগত অনিশ্চয়তা দূর হলে সোনার ইটিএফে বিনিয়োগ পূর্বাভাস অনুযায়ী হবে। অর্থাৎ নির্ধারিত সুদভিত্তিক ইটিএফেও বিনিয়োগ হবে। সেই বাস্তবতায় সোনার দাম অতটা বাড়বে না বলেই মনে করছে গোল্ডম্যান স্যাক্স। তখন সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৫৫০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে গোল্ডম্যানের পূর্বাভাস।
এ ছাড়া চলতি বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার চাহিদা প্রতি মাসে ৮০ মেট্রিক টনে উঠবে বরেও পূর্বাভাস। আগের বছর যা ছিল ৭০ মেট্রিক টন।
গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, বিশ্ববাজারে আজ সোনার দাম সামান্য কমেছে। সেই পরিমাণ এক ডলারের কম। তাতে বিশ্ববাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৩১৫ ডলারে নেমে এসেছে। গত এক মাসে সোনার দাম বেড়েছে আউন্সপ্রতি ২৭৯ ডলার। গত এক বছরে বেড়েছে ৯২৬ ডলার।
সোনার ব্যবহার কেবল গয়নার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার রিজার্ভ আবার বাড়ছে। মানুষও সোনার বার ও সোনাভিত্তিক এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগ বাড়ছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, গত বছর সারা বিশ্বে সোনা বেচাকেনা হয়েছে ৪ হাজার ৯৭৪ টন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা বাড়ছে। ২০২৪ সালে এ নিয়ে টানা তিন বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সম্মিলিতভাবে এক হাজার টনের বেশি সোনা কিনেছে। গত বছর সবচেয়ে বেশি সোনা কিনেছে পোল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা কিনেছে ৯০ টন সোনা।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ছে।