জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজ্জারিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি ‘খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছে।’ ইসরায়েল আবার গাজা উপত্যকায় সব ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে সোমবার তিনি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের লাজ্জারিনি বলেন, “উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, এটি স্পষ্টতই গাজায় মানবিক সাহায্যের অস্ত্রায়ন হয়েছে।”

তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ের অগ্রগতি বজায় রাখতে এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য গাজায় আবারো মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

লাজ্জারিনি জানিয়েছেন, নতুন কর ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির আগে দেখা ‘ক্রমবর্ধমান ক্ষুধার’ দিকে ফিরে যাওয়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে গাজায়।

ইউএনআরডব্লিউএ ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ফিলিস্তিন এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের সহায়তা প্রদান করে আসছে। তবে সম্প্রতি সংস্থাটির কার্যক্রম বারবার ব্যাহত করেছে ইসরায়েল। এমনকি সংস্থাটিকে নিষিদ্ধও করেছে নেতানিয়াহু সরকার।

লাজ্জারিনি বলেন, ইউএনআরডব্লিউএ-এর “পতন অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে একটি বিপজ্জনক শূন্যতা তৈরি করবে এবং জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়াজুড়ে ধাক্কার তরঙ্গ পাঠাবে। যে পরিবেশে শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকে এবং মানুষ মৌলিক পরিষেবাগুলোর সুবিধা পায় না, তা শোষণ ও চরমপন্থার জন্য উর্বর ভূমি।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কেরানীগঞ্জে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা পানগাও এলাকায় এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আশরাফুল ইসলাম ও দীপ সরকার নামে দুজনকে আটক করেছে। তারা পেশায় অটোরিকশা চালক। ওই নারী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানিয়েছেন। 
  
স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, ওই নারী তার পরিবারকে না জানিয়ে এক মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করেন। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। বিয়ের শুরুতে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। এ ঘটনায় পুনরায় তার পরিবারের কাছে ফিরে যান। হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়ায় তার পরিবার বাড়ি থেকে বের করে দেয় তাকে। কোনো উপায় না পেয়ে কাজের সন্ধানে ঢাকায় আসেন। শনিবার কোন্ডা ইউনিয়নের পানগাওয়ে পরিত্যক্ত বাড়িতে অভিযুক্ত দুই অটোরিকশা চালক তাকে আশ্রয় দেয়।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই হিন্দু নারী তার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে কেরানীগঞ্জ কোন্ডা ইউনিয়ন পানগাও এলাকায় আশ্রয় নেন। প্রথমে তিনি একটি মাজারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। শনিবার রাতে তিন অটোরিকশাচালক ওই নারীকে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে একটি ঘরে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। ইয়াসিন নামে একজন পলাতক রয়েছে। 

শারীরিক পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরার শিশুটির অবস্থার আবারও অবনতি
  • নিয়মিত বাহিনীকেই কার্যকর করতে হবে
  • আইনশৃঙ্খলার অবনতি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই: গণসংহতি আন্দোলন
  • জাবিতে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ গঠন
  • কেরানীগঞ্জে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
  • মাগুরায় ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ
  • মাগুরায় প্রকাশ্যে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ
  • মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ
  • ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি অপসারণের নির্দেশ