গাজার পরিস্থিতি ‘খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছে’
Published: 11th, March 2025 GMT
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজ্জারিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি ‘খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছে।’ ইসরায়েল আবার গাজা উপত্যকায় সব ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে সোমবার তিনি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের লাজ্জারিনি বলেন, “উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, এটি স্পষ্টতই গাজায় মানবিক সাহায্যের অস্ত্রায়ন হয়েছে।”
তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ের অগ্রগতি বজায় রাখতে এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য গাজায় আবারো মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
লাজ্জারিনি জানিয়েছেন, নতুন কর ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির আগে দেখা ‘ক্রমবর্ধমান ক্ষুধার’ দিকে ফিরে যাওয়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে গাজায়।
ইউএনআরডব্লিউএ ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ফিলিস্তিন এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের সহায়তা প্রদান করে আসছে। তবে সম্প্রতি সংস্থাটির কার্যক্রম বারবার ব্যাহত করেছে ইসরায়েল। এমনকি সংস্থাটিকে নিষিদ্ধও করেছে নেতানিয়াহু সরকার।
লাজ্জারিনি বলেন, ইউএনআরডব্লিউএ-এর “পতন অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে একটি বিপজ্জনক শূন্যতা তৈরি করবে এবং জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়াজুড়ে ধাক্কার তরঙ্গ পাঠাবে। যে পরিবেশে শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকে এবং মানুষ মৌলিক পরিষেবাগুলোর সুবিধা পায় না, তা শোষণ ও চরমপন্থার জন্য উর্বর ভূমি।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কিন ডলারের মান সর্বনিম্নে নেমেছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের জেরে মার্কিন ডলারের মান সর্বনিম্নে নেমেছে। শুক্রবার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই মুদ্রার মান গত তিন বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ পতন হয়েছে।
বিশ্বে মার্কিন ডলারের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের সূচক (ডিএক্সওয়াই) ও মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার মার্কিন ডলারের মান তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মান সাধারণত ডলারের মানের ওপর নির্ভর করে।
মার্কিন ডলারের সূচকে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ডলারের মূল্য কমে ৯৯ দশমিক ০১-এ দাঁড়িয়েছে। যা এক বছরের মধ্যে ডলারের মানের প্রায় ৮ শতাংশ পতনের রেকর্ড।
ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ডলারের মানের বেশি পতন ঘটেছে। ওই দিন বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আমদানি শুল্ক আরোপ করেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপের পর বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থায় ব্যাপক টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়ার শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস শুরু হয়। যদিও পরবর্তীতে চীন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর আরোপিত এই শুল্ক আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
বিদেশি মুদ্রার লেনদেন হয় আলাদা দুটি দেশের মুদ্রায়। উদাহরণস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার ক্রয়। যার ফলে এক দেশের মুদ্রার মান আরেক দেশের মুদ্রার মানের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। যা ‘এক্সচেঞ্জ রেট’ নামে পরিচিত।
বিশ্বের বেশিরভাগ মুদ্রার মানই ওঠানামা করে। যার অর্থ চাহিদা এবং সরবরাহ অনুযায়ী দাম পরিবর্তন হয়ে থাকে। কিছ মুদ্রার মান স্থির। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ডলার একটি নির্দিষ্ট দামে নির্ধারিত। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন ডলারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ডলারের মান নির্দিষ্ট করা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি বাতিল করা হয়
এখন চাহিদা ও সরবরাহ অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মূল্য ওঠানামা করে। মুদ্রা শক্তিশালী হয় বিভিন্ন কারণে। যার মধ্যে অন্যতম হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, পণ্যের চাহিদা ইত্যাদি।