রূপগঞ্জে হাদী দাউদ নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালককে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

এ ছাড়া একই মামলার অন্য ধারায় তিনজনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- নেত্রকোণার উত্তর বিশিউড়া এলাকার সারোজ আলীর ছেলে মো.

লতিফ (৪৪) ও তার ভাই মো. রতন (৪০), একই এলাকার মো. নওয়াব আলীর ছেলে মো. আ. আউয়াল (৩৯) এবং বরিশালের বাবুগঞ্জ এলাকার মো. শহীদুল আলম (৫০)। তাদের মধ্যে মো. শহীদুল আলম ছাড়া সকলেই পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট সামছুল আরেফিন টুটুল বলেন, ২০০৫ সালে রূপগঞ্জের আদুরিয়া এলাকায় আসামিরা যোগসাজশে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক হাদী দাউকে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট খাইয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ গুম করার চেষ্টা করে।

পরে তাদের আচরণ সন্দেহ হলে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রহস্য উন্মোচন করে। রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজা ‘পৃথিবীর নরকে’ পরিণত হয়েছে: রেডক্রস

আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থা রেডক্রস জানিয়েছে, গাজার মানবিক পরিস্থিতি ‘পৃথিবীর নরকে’ পরিণত হয়েছে। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা তাদের অস্থায়ী হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। কারণ এরপর তাদের রসদ ফুরিয়ে যাবে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রেডক্রসের প্রেসিডেন্ট মিরজানা স্পোলজারিক এসব কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।

তিনি বলেন, ‘আমরা গাজায় এখন নিজেদের এমন পরিস্থিতিতে দেখছি। যেটিকে আমাকে বলতে হবে পৃথিবীর নরক। মানুষ বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ, পানি, খাবার পায় না।’

আরো পড়ুন:

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ শনিবার

ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ

দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল।  তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তার আগে, গত ২ মার্চ থেকে গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করেছে ইসরায়েল। 

রেডক্রস প্রেসিডন্ট বলেছেন, “গত ছয় সপ্তাহে, কোনো কিছু গাজায় ঢোকেনি। তাই আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতাল চালু রাখতে আমাদের কাছে থাকা যে রসদ আছে সেগুলো ফুরিয়ে যাবে।”

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের বিমান হামলায় প্রায় ১৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও তিন হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছেন। 

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে গাজায় হামলা আরো বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। 

প্রসঙ্গত,  ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। নিহত ও আহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ