রিয়াল মাদ্রিদের ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার এডওয়ার্ড কামাভিঙ্গাকে দলে নিতে চায় ম্যানচেস্টার সিটি। এরই মধ্যে বাঁ-পায়ের এই ফুটবলারের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করেছে সিটিজেনরা। ফুটবল দলবদল বিষয়ক সাংবাদিক ফ্লোরিয়ান পিটারবার্গ এই দাবি করেছেন।
রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ২০২৯ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে কামাভিঙ্গার। তাকে দলে পেতে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হবে সিটিজেনদের। তার আগে অবশ্য লস ব্লাঙ্কোস ছাড়তে কামাভিঙ্গা সম্মত কিনা সেটা পরিষ্কার হতে হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াই থেকেও ছিটকে গেছে। সেরা চারে মৌসুম শেষ করতে পারাই এখন পেপ গার্দিওলার প্রধান চ্যালেঞ্জ।
এরই মধ্যে গার্দিওলা নতুন মৌসুম নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে জানুয়ারির শীতকালীন দলবদলের বাজারে রেকর্ড অর্থ খরচ করে পাঁচ ফুটবলার ভিড়িয়েছে ম্যানসিটি বোর্ড।
গ্রীষ্মকালীন দলবদলের বাজারে মিডফিল্ড ছাড়াও গোলরক্ষক এদেরসনের বিকল্প খুঁজছে ম্যানসিটি। বেশ ক’জন গোলরক্ষক এরই মধ্যে সিটিজেন কোচ পেপ গার্দিওলার শর্টলিস্টে আছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল
এছাড়াও পড়ুন:
সাভারে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে ফের ছিনতাই, স্বর্ণালঙ্কার লুট
ঢাকার সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফের ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ব্যাংক টাউন এলাকা সংলগ্ন ব্রিজের উপর ঢাকামুখী সাভার পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব ১৩-০৭০৬) একটি যাত্রীবাহী বাসে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
এ সময় বাসটিতে থাকা তায়েফুর রহমান নামে সাভারের স্থানীয় একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন।
সাংবাদিক তায়েফুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, “দুপুর ১২টার দিকে শ্যামলী যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্ত্রী ও বাচ্চাকে সাথে নিয়ে ব্যাংক টাউন থেকে বাসটিতে উঠি আমরা। ব্যাংক টাউন পার হয়ে পুলিশ টাউনের আগের ব্রিজের উপর বাসটি উঠতেই বাসে আগে থেকেই অবস্থান করা ৩ থেকে ৪ জন যুবক ছুরি হাতে নারী যাত্রীদের কাছে থাকা চেইন, স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তারা আমার স্ত্রীর গলায় থাকা লকেটসহ একটি স্বর্ণের চেইনও ছিনিয়ে নেয়।”
তিনি বলেন, “বাসে প্রায় ২০/২৫ জন যাত্রী ছিল। তবে ছিনতাইকারীরা কারো ফোন/ডিভাইস নেয়নি। শুধুমাত্র নারী যাত্রীদের টার্গেট করে তারা। ছিনতাইকারীরা বাসে থাকা অন্তত ৩ জন নারী যাত্রীর কাছ থেকে চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে।
তায়েফুর রহমান আরও জানান,পরবর্তীতে বাসটি গাবতলীতে আসার পর যাত্রীরা বাসের চালককে একটি কাউন্টারে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। পরে তিনি সেখান থেকে চলে যান।
যদিও ছিনতাইকারীরা ঠিক কোন জায়গা থেকে বাসটিতে উঠেছিল সেটি নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি। তবে ছিনতাইয়ের সময় ছিনতাইকারীরা বাসটিকে ব্রিজের উপর দাঁড় করিয়ে ছিনতাই শেষে ওই ব্রিজের ওপরই নেমে যায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া বলেন, “এমন কোনো সংবাদ আমি এখনও পাইনি। সেখানে তো আমাদেরও অলরেডি একটি চেকপোস্ট রয়েছে। বিষয়টি আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সাভারের মহাসড়ক ও চলন্ত বাসে ছিনতাই প্রতিরোধে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে, বিশেষ করে ব্যাংক টাউন এলাকাসহ ছিনতাইপ্রবণ যেসব এলাকা রয়েছে সেসব স্থানে বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে ঢাকা জেলা পুলিশ।
মহাসড়ক ও চলন্ত বাসে ছিনতাই প্রতিরোধে ৫ এপ্রিল থেকে পুলিশের পক্ষ থেকে এমন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির।
পরবর্তীতে সাভারের ব্যাংক টাউনসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেসব এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস, বিশেষ করে লোকাল বাসগুলো থামিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছে সাভার মডেল থানা পুলিশ ও ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের একাধিক টিম।
এ সময় বাসে উঠে যাত্রীদের কোনো ধরনের সমস্যা রয়েছে কিনা, সন্দেহজনক কিছু দেখছেন কিনা সেটি জিজ্ঞাসার পাশাপাশি যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক নির্দেশনা দিতে দেখা যায় পুলিশ কর্মকর্তাদের।
পুলিশের চলমান এই চেকপোস্ট এবং তল্লাশি কার্যক্রমের মধ্যেই আবারও আজ চলন্ত বাসে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলো।
ঢাকা/সাব্বির/টিপু