৪০ বছরেও রোনালদো কেন জাতীয় দলে, ব্যাখ্যা দিলেন কোচ
Published: 11th, March 2025 GMT
উয়েফা নেশনস লিগে ২১ মার্চ ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। কোচ রবার্তো মার্তিনেজ এখনো পর্তুগালের স্কোয়াড ঘোষণা করেননি। অনিবার্য কোনো কারণ না থাকলে স্কোয়াডে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম থাকাটা নিশ্চিতই। পর্তুগিজ কিংবদন্তি ৪০ বছরে পা রাখলেও জাতীয় দলের হয়ে এখনো তাঁকে নিয়মিতই মাঠে দেখা যায়। কেন? ‘কোচেস ভয়েস’–এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পর্তুগালের কোচ মার্তিনেজ।
আরও পড়ুন‘লিভারপুল-পিএসজির ম্যাচে যারা জিতবে, তারাই ফাইনাল খেলবে’২ ঘণ্টা আগেপাঁচবার ব্যালন ডি’অরজয়ী রোনালদোর বয়স হলেও তাঁকে এখনো কেন জাতীয় দলে ডাকা হয়—এ প্রশ্নের উত্তর কোচেস ভয়েসে নিজের লেখা কলামে দিয়েছেন মার্তিনেজ, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো খেলোয়াড়কে নিয়ে যখন কথা বলি, তখন তাকে তিনটি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মূল্যায়ন করি। তার প্রতিভা তর্কাতীত; ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা। তার অভিজ্ঞতাও অনন্য; একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ছয়টি ইউরোয় খেলেছে এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে দুই শতাধিক। কিন্তু যে বিষয় সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে, সেটা হচ্ছে তার নিবেদন।’
জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন রোনালদো। গোলও করেছেন সবচেয়ে বেশি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক
গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসন থানার মোগরখাল এলাকার একটি বাসায় এ দুর্ঘঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন, পারভীন আক্তার (৩৫ বছর), তাসলিমা (৩০) বয়সী, সীমা (৩০), তানজিলা (১০) ও দেড় বছরের আইয়ান।
আরো পড়ুন:
ছেলের পর নাতীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় রাবেয়া বেগম
নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু
তাদের আত্মীয় মফিজুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে রান্না করার জন্য চুলা জ্বালালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ শাওন বিন রহমান জানান, গাজীপুরের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচ জনকে দগ্ধদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগুনে সীমার শরীরের ৯০ শতাংশ, পারভীনের ৩২ শতাংশ, তানজিলার ৯০ শতাংশ, তাসলিমার ৯৫ শতাংশ ও আয়ানের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের আগুনে প্রায়ই দগ্ধ হচ্ছে মানুষ। তাদের অনেকে চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসছেন। কিন্তু সবাইকে বাঁচানো যাচ্ছে না বলে জানান চিকিৎসকরা।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিসাবে, শুধু ২০২৪ সালে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১২ হাজার ৮১১ জন রোগী জরুরি বিভাগে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৬৮০ জন রোগী। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মারা যান ১০০২ জন। অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা/ইভা