আটার দাম কমায় প্রথমবারের মতো কমেছে ফিতরা। ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম আটার দাম অনুযায়ী এবারের ঈদুল ফিতরে সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। যা আগের দুই বছর বছর ছিল ১১৫ টাকা। ২০২২ সালে ছিল ৭৫ টাকা। ২০২৩ সালে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিতে ফিতরা নির্ধারণ করা হয় ১১৫ টাকা।
এ বছর জনপ্রতি সর্বোচ্চ ফিতরা ২ হাজার ৮০৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ২ হাজার ৯৭০ টাকা।
মঙ্গলবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল খালেক।
ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী, সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ সম্পদের মালিক হলে ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই তা গরিবদের মধ্যে দান করতে হবে। গম, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যের যে কোনো একটি অথবা এর দাম গরীব দুস্থকে দানের মাধ্যমে ফিতরা আদায় করা যায়।
এ বছর গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রামের বাজারমূল্য ১১০ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ৫৩০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা দিতে হবে। গত বছর খেজুরের দাম ফিতরা ছিল ২ হাজার ৪৭৫ টাকা। কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ১ হাজার ৯৮০ টাকা ফিতরা দিতে হবে। গত বছর ছিল ২ হাজার ১৪৫ টাকা দিতে হবে। পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৮০৫ টাকা ফিতরা দিতে হবে। গত বছর যা ছিল ২ হাজার ৯৭০ টাকা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গত বছর
এছাড়াও পড়ুন:
জাতি এবার হিন্দুত্ববাদ প্রভাবমুক্ত বাঙলা নববর্ষ উদযাপন করল: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম বলেছেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর্যন্ত নববর্ষ উদযাপনের নামে ভারতীয় হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি পালনে আমাদেরকে বাধ্য করা হয়েছিলো। এই প্রথম জাতি হিন্দুত্ববাদ প্রভাবমুক্ত বাঙলা নববর্ষ উদযাপন করল।”
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে পুরানা পল্টনে আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আহমদ আবদুল কাইয়ুম বলেন, “বিগত ১৬ বছল ফ্যাসিবাদী হাসিনার সরকার ভারতের পদলেহন করে দেশকে ভারতের হিন্দুয়ানি সংস্কৃতির আদলে সাজিয়ে মুসলিম ঐতিহ্যকে ধুলিসাৎ করে দিয়েছিলো। যা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিলো তা মুসলমানদের সংস্কৃতি ছিল না। মুসলমানদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে, তা বিস্তারে কাজ করা উচিত। বিদেশি সংস্কৃতির নামে হিন্দুয়ানি ও পশ্চিমা সংস্কৃতি আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলে জনগণের দুঃখ দুর্দশার অন্ত থাকবে না। ফ্যাসিবাদের পতনের পর একটি দল যেভাবে দেশের সবকিছু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে এবং ফ্যাসিবাদের জায়গাগুলো দখল করছে, তা কোনভাবেই কাম্য নয়। দলীয় সরকার নয়. তাতেই একটি দল যেভাবে দেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতি, দখলবাজি করছে মেনে নেওয়া যায় না। অনেকেই মনে করছেন, দলীয় সরকার হলে তারা কী করবে? সহজেই অনুমেয়। কাজেই সংষ্কার করে ৫৪ বছরে জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে জনগণের কোন কল্যাণ হবে না।”
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ কামরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি নুরুজ্জামান সরকার, সেক্রেটারি জেনারেল রাকিবুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাঈম, দপ্তর সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস, অর্থ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি