৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
Published: 11th, March 2025 GMT
পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুরে পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আফজাল হোসেন (৪৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা সদর থানা পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাতে পাবনা শহরের পৈলানপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আফজাল পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর হাসপাতাল পাড়ার মৃত বিলাত আলীর ছেলে। অভিযুক্ত আফজাল গয়েশপুর বাজারের একজন ব্যবসায়ী। এছাড়া কৃষি কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত বলে পুলিশ জানায়।
এর আগে এই ঘটনায় ওই শিশুটির মা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে.
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি অপারেশন) সঞ্জয় সাহা জানান, ঘটনার পর শিশুটির মা বাদী হয়ে আফজালকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। আফজালকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ের হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশু উদ্ধার
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া আড়াই মাস বয়সী শিশু সায়ানকে উদ্ধার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে ঢাকার গাজীপুর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) শেখ জাহিদুল ইসলাম।
এসপি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “চুরি হওয়ার পর থেকে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা শুরু করা হয়। অনেক চেষ্টার পর শিশুটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এঘটনায় ৩-৪ জনকে আটকের কথা আমরা জানতে পেরেছি। তবে, আটকের বিষয়টি বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।”
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে সাড়ে ৪ বছর বয়সী শিশুকে ‘ধর্ষণ’, থানায় মামলা
রাজশাহীর পৌনে ৪ লাখ শিশু পাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল
সায়ানের নানি পারভিন জানান, শিশুটিকে আনতে ঠাকুরগাঁও পুলিশ প্রশাসন সায়ানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
এর আগে, গত সোমবার (১০ মার্চ) ইফতারের পর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে শিশুটি চুরি হয়। চুরি হওয়া শিশুটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লি থানার মুন্সিরহাট এলাকার শিমুল হোসেনের ছেলে।
গত রবিবার ৯ মার্চ ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হলে সায়ানকে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। সোমবার সারাদিন এক অচেনা নারী শিশুটির পাশে থেকে তার যত্ন নেয় এবং বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে। সন্ধ্যায় শিশুটির মা হাসি ও তার নানী পাশের ওয়ার্ডে অন্য এক রোগীকে দেখতে যান। ফিরে এসে তারা শিশুটিকে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে রাতেই বিক্ষুব্ধ জনতা শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পর দিন মঙ্গলবার সকালেও শিশুটিকে উদ্ধার ও হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধি সহ নানা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির কথা শোনেন এবং শিশুটিকে উদ্ধার আশ্বাস দেন। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ ও বিক্ষোভ বন্ধ করেন।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ