‘জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটি’ এ বছরের ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করেছে।
এতে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের তুলনায় এবার সর্বনিম্ন ফিতরার ক্ষেত্রে ৫ টাকা, আর সর্বোচ্চ ফিতরার ক্ষেত্রে ১৬৫ টাকা কমেছে।
ইসলামি শরিয়াহমতে, আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির—এই পণ্যগুলোর যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা দেওয়া যায়। এই পাঁচটি পণ্যের মধ্যে গম বা আটাকে সর্বনিম্ন ধরা হয়।
গম বা আটা দিয়ে দিলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য যা হয়, তা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে। আর যব, খেজুর, কিশমিশ ও পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হয়।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভায় এই পাঁচ পণ্যের বাজারদর যাচাই করে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। ১৪ সদস্যের এই কমিটির সভায় ১০ জন উপস্থিত ছিলেন।
সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গম বা আটা দিয়ে এবারের ফিতরা সর্বনিম্ন ১১০ টাকা, যব দিয়ে ৫৩০ টাকা, খেজুর দিয়ে ২ হাজার ৩১০ টাকা, কিশমিশ দিয়ে ১ হাজার ৯৮০ টাকা ও পনির দিয়ে ২ হাজার ৮০৫ টাকা।
ব্যক্তি নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী, এই পণ্যগুলোর যেকোনো একটি বা এর বাজারমূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারবেন।
হিসাবে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় শুধু ‘যব’-এর ক্ষেত্রে ফিতরা ১৩০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া বাকি চার পণ্যের ক্ষেত্রে ফিতরা কমেছে।
গম বা আটার ক্ষেত্রে ফিতরা ৫ টাকা এবং খেজুর, কিশমিশ ও পনিরের ক্ষেত্রে ১৬৫ টাকা করে কমেছে।
কেন ফিতরার হার কমে গেল, তা নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘জাতীয় সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটি’র একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
‘ফিতরা নির্ধারণ কমিটি যে ফিতরা নির্ধারণ করছে, এটাই চূড়ান্ত বা এটা বাধ্যতামূলক নয়। আমরা ঢাকার বাজারদর যাচাই করে ফিতরা নির্ধারণ করেছি। এসব পণ্যের স্থানীয় বাজারমূল্যে তারতম্য রয়েছে। তাই স্থানীয় বাজারদর যাচাই করে নিজেরা নির্ধারণ করে ফিতরা দিলে আদায় হয়ে যাবে।’মুহিব্বুল্লাহ হিল বাকী, জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সদস্যসদস্যদের একজন ঢাকার শায়খ জাকারিয়া (রা.
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে মিজানুর রহমান সাঈদ বলেন, গত বছর রমজানে ফিতরা নির্ধারণের সময়ে প্রতি কেজি আটার গড় দাম ছিল ৭০ টাকা। এ বছর ৫ টাকা কমে তা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে গত বছর ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম আটার দাম অনুযায়ী সর্বনিম্ন ফিতরা ছিল ১১৫ টাকা। এবার সেটি কমে ১১০ টাকা দাঁড়ায়।
মুফতি মিজান জানান, এবার তাঁরা বাজারে প্রতি কেজি আটা ৫৫ থেকে ৬০–৬৫ টাকা পর্যন্ত পান। এর মধ্যে বেশি চাহিদাসম্পন্ন কয়েকটি ব্র্যান্ডের আটাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়। তাঁরা ৬৫ টাকা কেজি ধরে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম আটার বাজারমূল্য পান ১০৭ টাকা। সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভায় ফকিহরা অধিক সতর্কতা হিসেবে আরও বাড়তি ৩ টাকা যুক্ত করে এবার ১১০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ (আটার ভিত্তিতে) করেন।
২০২৪ সালে ফিতরা নির্ধারণের সময় এক কেজি ‘যব’-এর বাজারমূল্য ছিল ১২১ টাকা। এ বছর তা ১৬০ টাকা। গত বছর ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম যবের বাজারমূল্য অনুযায়ী ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০০ টাকা। এ বছর ১৩০ টাকা বেড়ে ৫৩০ টাকা দাঁড়িয়েছে।
একইভাবে গত বছর কিশমিশের কেজি ছিল ৬৫০ টাকা। সে অনুযায়ী, ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিশমিশের দাম ২ হাজার ১৪৫ টাকা ধরে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার কিশমিশের দাম প্রতি কেজি ৬০০ টাকা হারে ফিতরা ১ হাজার ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারের নানা জাতের খেজুর পাওয়া যায়। ফিতরার জন্য তাঁরা বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘মরিয়ম খেজুর’ বিবেচনায় নেন। গত বছর মরিয়ম (নির্দিষ্ট মান) খেজুরের কেজি ছিল ৭৫০ টাকা। এ বছর তা ৭০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তিন কেজি ৩০০ গ্রাম খেজুরের দাম পড়ে ২ হাজার ৩১০। সে অনুযায়ী, এবার খেজুর দিয়ে কেউ ফিতরা আদায় করতে চাইলে ২ হাজার ৩১০ টাকা দিতে হবে।
ফিতরা আদায়ের ক্ষেত্রে পনির সবচেয়ে দামি পণ্য। গত বছর প্রতি কেজি পনিরের দাম ছিল ৯০০ টাকা। সে অনুযায়ী, তিন কেজি ৩০০ গ্রাম পনিরের দাম হিসাব করে ২ হাজার ৯৭০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ বছর পনিরের দাম ৫০ টাকা কমে প্রতি কেজি ৮৫০ টাকায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুনফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা৫ ঘণ্টা আগেসাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, পনির বিক্রির জন্য প্রসিদ্ধ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম ও মালিবাগ এলাকার কয়েকটি দোকানে দাম যাচাই করা হয়েছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের একজন ইমাম এ উপলক্ষে মালিবাগ থেকে পনির কেনেন।
এক কেজি পনিরের বর্তমান বাজারমূল্য ৮৫০ টাকা ধরে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম পনিরের দাম অনুযায়ী এবার সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম মুহিব্বুল্লাহ হিল বাকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফিতরা নির্ধারণ কমিটি যে ফিতরা নির্ধারণ করছে, এটাই চূড়ান্ত বা এটা বাধ্যতামূলক নয়। আমরা ঢাকার বাজারদর যাচাই করে ফিতরা নির্ধারণ করেছি। এসব পণ্যের স্থানীয় বাজারমূল্যে তারতম্য রয়েছে। তাই স্থানীয় বাজারদর যাচাই করে নিজেরা নির্ধারণ করে ফিতরা দিলে আদায় হয়ে যাবে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৩০০ গ র ম ১১০ ট ক গত বছর অন য য় বছর র এ বছর সদস য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বাঙালির প্রাণের উৎসব আজ
রৌদ্রকরোজ্জ্বল বৈশাখী দিন ফিরে এল আবার। সুরে-বাণীতে, সাজসজ্জায়, আহারে-বিহারে, আনন্দ-উল্লাসে আজ সোমবার বাংলার নতুন বছর ১৪৩২ বরণ করে নেবে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে দেশের সব মানুষ। পুরোনো ব্যর্থতা ঝেরে ফেলে সবার কল্যাণ কামনায় উদ্যাপিত হবে নববর্ষের উৎসব। নববর্ষকে আবাহন জানিয়ে বহুকণ্ঠে ধ্বনিত হবে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো...।’
বাংলা নববর্ষের চেয়ে বড় কোনো সর্বজনীন উৎসব দেশে আর নেই। এ কারণে মানুষে মানুষে মহাপ্রাণের মিলন ঘটানোর বর্ষবরণের এই উৎসব গভীর তাৎপর্যময় হয়ে আছে আমাদের জীবনে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর এবার নতুন পরিবেশে বর্ষবরণ উৎসব বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য তাই ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।
মূল প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জাতীয়ভাবে রাজধানীসহ সারা দেশে ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে নববর্ষ উদ্যাপনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। উৎসব অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সব জাতিসত্তার প্রতিনিধিদের নিজ নিজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রমনার বটমূলে বর্ষবরণের ঐতিহ্যবাহী অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠান আয়োজন করবে ছায়ানট।
রাজধানীর বর্ষবরণের অন্যতম বর্ণাঢ্য আয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শোভাযাত্রা। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র বদলে এবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামকরণ করা হয়েছে। এই শোভাযাত্রার যে মোটিফগুলো তৈরি করা হয়েছিল, তার মধ্যে
২০ ফুট উচ্চতার ‘স্বৈরাচারের মুখাকৃতি’ নামের মোটিফটি শনিবার ভোররাতে কে বা কারা আগুনে পুড়িয়ে দেয়। চারুকলা অনুষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরও তাদের শোভাযাত্রা বর্ণাঢ্যভাবেই পথে নামবে পয়লা বৈশাখ সকালে।
পয়লা বৈশাখের উৎসব গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতীয়তাবোধের যে উন্মেষ ঘটেছিল, তার বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে সাংস্কৃতিক আন্দোলন। আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে তার প্রতিবাদে বিপুল উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বৈশাখী উৎসব উদ্যাপিত হয়। রমনার বটমূলে ১৯৬৭ সালে ছায়ানট প্রথমবারের মতো আয়োজন করে তাদের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। কালক্রমে বর্ষবরণ উৎসবে যুক্ত হয় আরও অনেক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। চারুকলার শোভাযাত্রা বর্ণাঢ্য করে তোলে আয়োজন। বহু সংগঠনের অংশগ্রহণে বর্ষবরণ বহু প্রাণের বিপুল উৎসবে পরিণত হয়।
বাংলা বর্ষবরণের উৎসব যত আড়ম্বর, উৎসাহের সঙ্গে উদ্যাপিত হয়, ব্যবহারিক জীবনে বাংলা সনের প্রয়োগ তেমন ব্যাপক নয়। প্রাত্যহিক জীবনের কাজকর্ম, শিক্ষা, ব্যবসা—সবই গ্রেগরিয়ান দিনপঞ্জি অনুসরণ করেই সম্পন্ন হয়ে থাকে। তবে বাংলা দিনপঞ্জি পুরোপুরি অব্যবহৃতও নয়। কৃষকেরা চাষাবাদ, ফসল রোপণ, ফসল তোলার ক্ষেত্রে বাংলা সনের হিসাব অনুসরণ করেন। অনেক ধর্ম সম্প্রদায়ও তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের জন্য বাংলা বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করে। কাজেই সমাজে নানা ক্ষেত্রে বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রয়োগ রয়েছে। সে কারণে নতুন বছর শুরু হলে নতুন প্রত্যাশা নিয়েই মানুষ তাকে বরণ করে নেয়।
নতুন বছরকে বরণ করার রীতি পৃথিবীর বহু দেশের সংস্কৃতিতে বহমান। আমাদের দেশে বছরের পয়লা দিনটিকে কেন্দ্র করে এই উৎসবে তুলে ধরা হয় দেশের গৌরবময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। রাজধানীতে রমনার বটমূলে এবার ৫৮তম বারের মতো ছায়ানট আয়োজন করবে তাদের বর্ষবরণের প্রভাতি অনুষ্ঠান। এবার তাদের অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ভৈরবীতে রাগালাপের মধ্য দিয়ে শুরু হবে প্রায় দুই ঘণ্টার এ অনুষ্ঠান।
এ ছাড়া ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চে সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুরের ধারার আয়োজনে সকাল ৬টায় শুরু হবে সহস্রকণ্ঠের গানে গানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
চারুকলা অনুষদের আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হবে সকাল নয়টায়। আগেই জানানো হয়েছে, এবার শোভাযাত্রায় বিভিন্ন জাতিসত্তার প্রতিনিধিরা তাঁদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীকগুলো নিয়ে অংশ নেবেন। শোভাযাত্রাটি টিএসসি, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর, বাংলা একাডেমি হয়ে আবার চারুকলার সামনে এসে শেষ হবে।
সকাল থেকেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হবে বিসিকের সঙ্গে যৌথ আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা। এ ছাড়া বেলা সাড়ে তিনটা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হবে বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে ‘ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কালবোশেখীর ঝড়’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে থাকবে একক ও দলীয় আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বেলা তিনটা থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে চলবে বৈশাখী ব্যান্ড শো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা সাতটায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় চীনা কারিগরি দলের পরিবেশনায় শুরু হবে বর্ণাঢ্য ড্রোন শো।
এসব প্রধান অনুষ্ঠান ছাড়াও অনেক এলাকাভিত্তিক এবং বহুতল আবাসিক ভবনগুলোতে ছোট ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। বরাবরের মতো ট্রাকে ভ্রাম্যমাণ মঞ্চ করে অনেক সংগঠন শহর ঘুরে সংগীত, আবৃত্তি পরিবেশন করবে।
রাজধানীর পাশাপাশি সারা দেশেই বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হবে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও প্রবাসী বাঙালিরা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেবেন। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেসব অনুষ্ঠানের সঙ্গেও দেশবাসীর এক রকমের সংযোগ ঘটে। এমন নানা আয়োজন উদ্যোগের ভেতর দিয়ে কালক্রমে বাংলা নববর্ষের উৎসব আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে। প্রসারিত হচ্ছে বিপুল পরিসরে।