ব্র্যাক  ৩৬০ ডিগ্রি এনসিডি কেয়ার প্রজেক্টের আওতায় নারায়ণগঞ্জে এনসিডি ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটালাইজেশন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিনব্যাপী জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ব্র্যাকের যৌথ আয়োজনে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ বা অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) ব্যবস্থাপনা এবং এনসিডি কর্নারের ডিজিটালাইজেশন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 

এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে তোলা, ডিজিটাল ডকুমেন্টেশন বৃদ্ধি এবং স্পাইস (ঝচওঈঊ) অ্যাপের মাধ্যমে রোগীদের পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার আফরোজা আক্তার পলি ও জেলা ও উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগন, মেডিকেল অফিসার, নার্স, পরিসংখ্যানবিদ, ক্লার্ক,স্বাস্থ্য পরিদর্শকসহ অনেকে। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ডা.

মাহমুদুল হাসান, ডা. রেজওয়ানা বিশ্বাস, টেলিকাউন্সেলর, মো. তৌহিদুল ইসলাম, টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম লিড, মেডট্রোনিক ল্যাবস।

সুমন চৌধুরী, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক।ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসুচির সোনারগাঁও ও বন্দর উপজেলার এলাকা ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, এবং পবিত্র কুমার দেবনাথসহ হেল্থ এডুকেটর, কর্মসুচি সংগঠকগণ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব যবস থ এনস ড

এছাড়াও পড়ুন:

জাফর এক্সপ্রেসে জিম্মি ১০৪ যাত্রীকে উদ্ধার, ১৬ জঙ্গি নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি থাকা ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসময় অভিযানে অন্তত ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।

সর্বশেষ পাওয়া খবরে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, এখনো অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনারা। এর আগে মঙ্গলবার জঙ্গিরা রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।

সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, ব্যালুচিস্তানের বলান জেলায় জাফর এক্সপ্রেসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে জিম্মি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ১৭ জন আহত যাত্রীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। অন্য যাত্রীদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।

জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশওয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।

নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পর, সন্ত্রাসীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যায়। আক্রমণকারীরা তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।

জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে তাদের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং নারী-শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া এলাকার কঠিন ভূ-প্রকৃতি অভিযানকে আরও জটিল করে তুলছে।

আক্রমণকারীরা ট্রেনের উপর আক্রমণ করার আগে রেলপথে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা লোকোমোটিভে গুলি চালিয়েছিল, যার ফলে চালক আহত হন। ট্রেনটি একটি সুড়ঙ্গের ঠিক আগে থেমে যায়। আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একটি দুর্গম, পর্বতাঞ্চলীয় এলাকায় ট্রেনটি তারা দখলে নেয়। ট্রেনটিতে নারী ও শিশুসহ ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলো। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ