আইসিসি-বিসিসিআইয়ের অননুমোদিত টুর্নামেন্টে গিয়ে বিপাকে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা
Published: 11th, March 2025 GMT
পেশাদার ক্রিকেট ছেড়ে কোচ হয়ে গেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে খেলোয়াড় হিসেবে এখনও কোথাও ডাক পড়লে ছুটে যান। তেমনই তার ডাক পড়েছিল ভারতের অনুষ্ঠিত এশিয়ান লিজেন্ডস টুর্নামেন্টে।
শুধু আশরাফুল নন, বাংলাদেশের আরো বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল বাংলা টাইগার্স নামের একটি দল। যেখানে ইলিয়াস সানী, রুবেল হোসেন, নাজিমউদ্দিন, নাদিফ চৌধুরী, মুক্তার আলীর মতো ক্রিকেটাররাও ছিলেন। তারা উড়ে গিয়েছিলেন ভারতের উদয়পুরে মিরাজ গ্রুপের আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে।
কিন্তু মাঠে নামার আগে তারা জানতে পারেন আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের অনুমোদন পায়নি এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ। তাতেই বিপাকে পড়ে যান তারা। যদিও বিসিবির ভাষ্য, ক্রিকেটারদের আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু আয়োজকদের ভুল ব্যাখ্যায় তারা ভারত যেতে বাধ্য হন।
আরো পড়ুন:
শ্রীলঙ্কায় যুবাদের ছয় ওয়ানডে
পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলে, আইপিএল খেলবেন স্যান্টনার-রাচিনরা
এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ সম্পর্কে সতর্ক করে ৩ মার্চ বিসিবিকে চিঠি দেয় আইসিসি। যেখানে লিখা হয়, এই লিগ আয়োজন নিয়ে বিসিসিআই তদারকি করছে না এবং আইসিসির স্বীকৃতিও দিচ্ছে না। বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, আইসিসির মেইল পাওয়ার পরই ক্রিকেটারদের সতর্ক করা হয়েছিল। অথচ আয়োজকরা ভুল বুঝিয়ে ক্রিকেটারদের খেলার জন্য নিয়ে গেছে।
গতকাল মিরাজ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান্স রয়েলসের সঙ্গে ম্যাচ ছিল টাইগার্সের। সেই ম্যাচে মাঠে নামেননি আশরাফুল, সানীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লি থেকে রওনা হয়েছেন তারা। কয়েকজন দুয়েকদিন পর ঢাকা ফিরবেন বলে খবর। বিসিবি থেকে অনাপত্তিপত্র ছাড়া ক্রিকেটাররা ভারতের চলে যাওয়ায় প্রবল সমালোচনা হচ্ছে। ক্রিকেটারদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বর্তমানে বিসিবির অধীনে চাকরি করছেন। কেউ চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার হিসেবে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা সেই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি।
তবে আইসিসির নির্দেশনা থাকলে বিসিবি শাস্তি গ্রহণ করবে বলেই খবর।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাফর এক্সপ্রেসে জিম্মি ১০৪ যাত্রীকে উদ্ধার, ১৬ জঙ্গি নিহত
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি থাকা ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসময় অভিযানে অন্তত ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, এখনো অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনারা। এর আগে মঙ্গলবার জঙ্গিরা রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।
সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, ব্যালুচিস্তানের বলান জেলায় জাফর এক্সপ্রেসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে জিম্মি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ১৭ জন আহত যাত্রীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। অন্য যাত্রীদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশওয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পর, সন্ত্রাসীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যায়। আক্রমণকারীরা তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।
জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে তাদের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং নারী-শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া এলাকার কঠিন ভূ-প্রকৃতি অভিযানকে আরও জটিল করে তুলছে।
আক্রমণকারীরা ট্রেনের উপর আক্রমণ করার আগে রেলপথে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা লোকোমোটিভে গুলি চালিয়েছিল, যার ফলে চালক আহত হন। ট্রেনটি একটি সুড়ঙ্গের ঠিক আগে থেমে যায়। আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একটি দুর্গম, পর্বতাঞ্চলীয় এলাকায় ট্রেনটি তারা দখলে নেয়। ট্রেনটিতে নারী ও শিশুসহ ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলো।