রান্নাঘরে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন, নারীর মৃত্যু
Published: 11th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরের নন্দনকানন এলাকায় রান্নাঘরের গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন ধরে নাসরিন আক্তার (৩২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। নাসরিনের সঙ্গে আগুনে দগ্ধ হয়েছিল তাঁর তিন বছরের শিশুসন্তান আবদুল্লাহ আল তায়িফ। সে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে নন্দনকাননের ৩ নম্বর গলির হোসেন মঞ্জিলে বাইরে থেকে এসে রান্নাঘরে চুলা জ্বালাতে যান নাসরিন আক্তার। এ সময় গ্যাসলাইনে লিকেজের কারণে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এতে নাসরিন মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। তিনি পানির জন্য দৌড়ে বাথরুমের দিকে ছুটে গেলে তখন তাকে জড়িয়ে ধরে দগ্ধ হয় শিশুসন্তান তায়িফও। পরে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে। অবস্থার অবনতি হলে নাসরিনকে রাতেই ঢাকার মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
কোতোয়ালি থানার উপপুলিশ পরিদর্শক রবিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই নারীর ৯০ শতাংশ আগুনে পুড়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। আজ সকালে তিনি মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ
এছাড়াও পড়ুন:
জাফর এক্সপ্রেসে জিম্মি ১০৪ যাত্রীকে উদ্ধার, ১৬ জঙ্গি নিহত
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি থাকা ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসময় অভিযানে অন্তত ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, এখনো অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনারা। এর আগে মঙ্গলবার জঙ্গিরা রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।
সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, ব্যালুচিস্তানের বলান জেলায় জাফর এক্সপ্রেসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে জিম্মি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ১৭ জন আহত যাত্রীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। অন্য যাত্রীদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশওয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পর, সন্ত্রাসীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যায়। আক্রমণকারীরা তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।
জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে তাদের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং নারী-শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া এলাকার কঠিন ভূ-প্রকৃতি অভিযানকে আরও জটিল করে তুলছে।
আক্রমণকারীরা ট্রেনের উপর আক্রমণ করার আগে রেলপথে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা লোকোমোটিভে গুলি চালিয়েছিল, যার ফলে চালক আহত হন। ট্রেনটি একটি সুড়ঙ্গের ঠিক আগে থেমে যায়। আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একটি দুর্গম, পর্বতাঞ্চলীয় এলাকায় ট্রেনটি তারা দখলে নেয়। ট্রেনটিতে নারী ও শিশুসহ ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলো।