বগুড়া জেলা কারাগারের এমদাদুল হক নামে (৫১) আরও এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে আরও ৪ আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।

এমদাদুল হক গাবতলী উপজেলার দক্ষিণপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ।
 
এর আগে বগুড়া কারাগারে থাকাকালে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগের যে চার নেতা মারা যান তারা হলেন- বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত আলম ঝুনু, গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিঠু, শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ এবং বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রতন। গত নভেম্বর মাসে পর্যায়ক্রমে তারা মারা যান।

বগুড়া কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ জানান, বিস্ফোরক ও ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার এমদাদুল হক ভট্টুকে ২৬ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। ওইদিন তাঁর প্রেশার সংক্রান্ত জটিলতা ছিল। সেদিনই তাকে কারাগারের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং সুস্থ হয়ে ওঠেন। মঙ্গলবার সেহরি শেষে সকালে হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করেন তিনি। পরে তাকে দ্রুত শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। 

এর আগে ৪ আওয়ামী লীগ নেতা মৃত্যুর ঘটনায় নানা মহল থেকে প্রশ্ন ওঠলে জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজ মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে সিভিল সার্জনকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সিভিল সার্জন ডা.

ফারজানুল ইসলাম বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি, বিধায় তদন্ত কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে না।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

টেলিভিশনে কার্টুন দেখানোর কথা বলে বাড়িতে এনে দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা

টেলিভিশনে কার্টুন দেখানোর কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে সাত বছরের দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় জনতা ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

গ্রেপ্তার মমিনুর ইসলাম (৫৪) পেশায় একজন ছাগল ব্যবসায়ী। ঘটনার পর রাতে ভুক্তভোগী এক শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়।

ভুক্তভোগী দুই শিশুকে গতকাল রাতে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাড়ির সামনে রাখা একটি স্কুলভ্যানের ওপর ওই দুই শিশু খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী মমিনুর ইসলাম তাঁর বাড়িতে টেলিভিশনে কার্টুন দেখানোর কথা বলে ওই দুই শিশুকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। ওই দুজনকে নিয়ে তিনি ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন। পাশের বাড়ির এক শিশু ইফতারি দিতে এসে এ ঘটনা দেখে এবং ভুক্তভোগী এক শিশুর বাড়িতে জানায়। ওই শিশুর পরিবারের সদস্য মমিনুরের বাড়িতে আসেন। তখন শিশু দুটি ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসে। ঘটনা জানাজানি হলে মমিনুর ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে এলাকার লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশে দেন।

ওসি মমতাজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সাত বছরের দুই শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। রাতে এক শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। আটক মমিনুর ইসলামকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আসামিকে আজ বুধবার দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ