সোনারগাঁয়ে প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণের মামলার আসামি গ্রেপ্তার
Published: 11th, March 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় হাবিবুর রহমান হাবু (৪২) নামে মূল অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ ব্যাটেলিয়ানের আভিযানিক দল। সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন গোয়ালপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যা ব জানিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত র্যাব-১১ ব্যাটেলিয়ানের স্কোয়াড্রন লিডার ইশতিয়াক হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার হাবিবুর রহমান নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার রাউৎগাঁও এলাকার আতশ আলীর ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, ভুক্তভোগি তরুণী প্রতিবন্ধী হলেও তিনি কথাবার্তা বলতে পারেন এবং নিজে চলাফেরা করতেও অভ্যস্ত। প্রতিদিনের মতো তিনি গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পেচাইন গ্রাম থেকে নিজ বাড়ি রাউৎগাঁও যাওয়ার পথে অভিযুক্ত আসামি হাবিবুর রহমান হাবু তাকে কৌশলে নিজের বসতঘরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনা কাউকে জানালে হত্যা করা হলে বলে ভুক্তভোগি তরুণীকে হাবু হুমকিও দেয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা করলে আসামিকে গ্রেফতারে থানা পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত ও অভিযান শুরু করে র্যা ব ।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন গোয়ালপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাবিবুর রহমান হাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামি হাবুর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রমের জন্য তাকে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও র্যাব জানিয়েছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ হ ব ব র রহম ন স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে রাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশ
নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’-এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে নারী নিপীড়নের ঘটনা নতুন নয়। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে শাসকদের দায়িত্বহীন আচরণ। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে এমন বিচারহীনতা ও নিরাপত্তাহীনতা কখনোই কাম্য নয়। সকলকে নিপীড়ন-সহিংসতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিপ্লব পরবর্তী সময়ে কখনোই এমন আচরণ কাম্য নয় বলে মন্তব্য করে ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ভেবেছিলাম নতুন বাংলাদেশ দেখতে পারব। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে তা আমরা দেখতে পারছি না। যে দেশে নিপীড়ককে যখন ফুল-পাগড়ি দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়, সে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা ঠিক আছে তা আমাদের বুঝতে বাকি নেই। তাই আপনাদের সকলকে কথা বলতে হবে। এই আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। সেইসঙ্গে শাসকদের বলতে চাই দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
সুস্মিতা চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাস এতদিন নিরব ছিল, কোনো আওয়াজ পাচ্ছিলাম না। কিন্তু গতকাল রাত থেকে ক্যাম্পাসে যেভাবে আমাদের শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে, ছাত্রীরা যেভাবে হল থেকে বেরিয়ে এসেছে, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। আমাদের দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা দীর্ঘদিনের, এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়।’
নারীরা আজ কোথাও নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেন নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী শুসমিন আফসানা। তিনি বলেন, ‘আট বছর বয়সী মাগুরার শিশুটি পরিবারের আশ্রয়ে ঘরের মধ্যেই ধর্ষিত হয়েছে। তাহলে নারী কোথায় নিরাপদ? রাস্তায় না, দোকানে না, ঘরে না, কোথাও নিরাপদ নন। এখন আসলে নারীর অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি পড়ে গেছে। প্রতিটা ঘটনা এই সাক্ষ্য দিচ্ছে যে নারীকে অস্তিত্বহীন করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা নারীরা ঘর-রাস্তা কোনো জায়গা ছাড়ব না। আমরা কথা বলব ও প্রতিবাদ গড়ে তুলব।’
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী উমামা বক্তব্য দেন। প্রতিবাদ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন ও সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন, ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক, নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক শ্রুভ্রা রানী চন্দসহ বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।