যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, দু’জন গ্রেপ্তার
Published: 11th, March 2025 GMT
পাবনার সাঁথিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে যুবলীগ নেতা আমিরুল ইসলাম আমিরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের চকপাট্টা উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই গৌরীগ্রাম এলাকা থেকে ইমু ও পাবনা মনসুরাবাদ এলাকার সিএনজিচালক মিঠুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আমিরুল ইসলাম ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের মৃত লোয়াই প্রামাণিকের ছেলে। তিনি উপজেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়াও ক্ষেতুপাড়া আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাত ৮টার দিকে ক্ষেতুপাড়া গ্রামের ইমু, সালেক ও মিঠুনসহ কয়েকজন আমিরুলের ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফ আলীকে মারধর করেন। এ খবর শুনে আমিরুল সেখানে গেলে অভিযুক্তরা তাকে সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যায়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আমিরুলের ভাই আশরাফ আলীকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আশরাফ আলী জানান, কয়েক বছর আগে স্থানীয় বাজারে চায়ের দোকানে ইমু, সালেকসহ কয়েকজনের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছিল। এরপর আর তাদের সঙ্গে কোনো সমস্যা হয়নি। ঘটনার দিন হঠাৎ তারা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। ভাই বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন।
থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পাবনা আদালতে পাঠানো হয়েছে; অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম র ল
এছাড়াও পড়ুন:
মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় চড়ার আনন্দ অন্যরকম ছিল: মিম
পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। এ দিন বাঙালি জাতিসত্তার মানুষ অতীত ভুলে নতুনের আবাহনে মেতে ওঠে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পালনের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয় নতুন বছর। ফলে দেশব্যাপী সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। সেই উৎসবে একাত্ম হয়েছেন রূপালি ভুবনের তারকারাও।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে নিজের ভাবনা ও স্মৃতিকথা জানিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। এ অভিনেত্রী বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমার কাছে সত্যিই আনন্দের একটা দিন। ছোট থেকেই এই দিনটা আমরা উদযাপন করি। ছোটবেলার নববর্ষ উদযাপন নিয়ে নানা স্মৃতি রয়েছে। এই দিন উপলক্ষে ঈদের মতো আমরা নতুন জামা কিনতাম। আমরা ভোলা এবং কুমিল্লাতে ছিলাম, ওখানে মেলা হতো, সেই মেলায় যেতাম। নববর্ষ বলতে এমনই নানা সুন্দর স্মৃতি রয়েছে।”
ছোটবেলার বৈশাখ উদযাপন নিয়ে বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, “ছোটবেলার পহেলা বৈশাখ মানেই আমার কাছে ছিল মেলা। আমি তো মফস্বলে বড় হয়েছি, তাই মেলায় যাওয়া, আর সেখানে গিয়ে নাগরদোলা চড়াটা ছিল আমার কাছে অন্যরকম আনন্দের। মেলায় বিভিন্ন খাবার পাওয়া যেত। যেমন— মিষ্টি। এগুলো খাওয়ার অন্যরকম মজা ছিল। এগুলো এখন ভীষণ মিস করি।”
আরো পড়ুন:
সনির সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে মিম
স্বামীকে নিয়ে টাইমস স্কয়ারে মিম
পরিবারের সঙ্গে বৈশাখ উদযাপন করছেন মিম। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “এবারের পহেলা বৈশাখ পরিবারের সঙ্গেই কাটাচ্ছি। যত বড় হচ্ছি, ততই এমন উৎসব উদযাপনে বাইরে খুব কমই যাওয়া হয়। বাসায় যেটা হয়, সেটা হল নানারকমের খাওয়া-দাওয়া। মা পান্তা ভাত রাখেন, আর সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা, নানারকমের ভর্তা আরো অনেক পদ থাকে। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়।”
“পহেলা বৈশাখের দিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি, মা মাটির বাসনপত্র ও প্লেটে সমস্ত ধরনের খাবার-দাবার, তারপর ফুল দিয়ে টেবিল সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছেন। এদিন সকলে একসঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করি, বন্ধুবান্ধবরা বাড়িতে আসেন, ছবি তুলি। এবারো এমনই হবে। বাসাতে হইহই করে নববর্ষ উদযাপন করব।” বলেন মিম।
ঢাকা/শান্ত