ঝিনাইদহের মহেশপুরে জামায়াতে ইসলামীর নারী কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় সোহেল হোসেন (৩৫) নামে এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোহেল হোসেন মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের কুল্লোপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে। তিনি স্থানীয় বিএনপি সমর্থক।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ভোরে মহেশপুর থানা পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে। সকাল ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আরো পড়ুন:

বরিশালের ৬টি আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা

ইউএনও’র কক্ষে জামায়াত নেতাদের মারধর, বিএনপির ৪ নেতাকে শোকজ

জানা গেছে, গত শনিবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মহেশপুর উপজেলা জামায়াতের নারী সদস্যরা সভার আয়োজন করে। বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের কুল্লোপাড়া গ্রামের খায়রুল ইসলামের বাড়িতে ওই সভার আয়োজন করা হয়। 

সভা চলাকালে স্থানীয় হায়াত আলীর ছেলে ঝুমুর (৫০), ওমর আলীর ছেলে আলআমিন (৪০), আব্দুল কাদেরের ছেলে সোহেল (৩৫), আব্দুল লতিফের ছেলে সাহেব আলী (৫০) ও ফকির মিয়ার ছেলে আশরাফুলের (৩৫) নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে তাদের উপর হামলা চালায়। 

এসময় হামলাকারীরা জামায়াতের এক নারী কর্মীকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে বলেও অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

ওই ঘটনায় পরদিন রোববার (৯ মার্চ) হাসিনা খাতুন নামে জামায়াতের এক নারী কর্মী বাদি হয়ে মহেশপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় আল আমিন, ঝুমুর, সোহেল ও সাহেব আলীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হাসিনা খাতুন বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড নারী জামায়াতের সদস্য ও রুকন।

মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বরেন, “জামায়াতের নারী কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সোহেল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সোহেল বিএনপির সাধারণ কর্মী। অন্য আসামিরাও বিএনপিকর্মী। তবে কারো কোনো রাজনৈতিক পদ-পদবি নেই বলে জেনেছি।”

ঢাকা/সোহাগ/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর ব এনপ ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়: বাংলাদেশ জাসদ

সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ জাসদ। আজ শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের এ অবস্থান তুলে ধরে দলটি।

আজ সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বৈঠকের শুরুতে নিজেদের প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপ পাঠ করেন বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন।

মুশতাক হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্যই চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান উল্লেখ করার ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে নব্বইয়ের গণ–অভ্যুত্থানও তাৎপর্যপূর্ণ। এই গণ–অভ্যুত্থানকেও সংবিধানে মর্যাদার সঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন। সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও ৭ মার্চের ভাষণ অপসারণ তাঁরা সমর্থন করেন না। দেশের নাম বাংলাতে পরিবর্তনকে তাঁরা অনাবশ্যক বলে মনে করেন।

আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের।

আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি শেষ করতে চায় কমিশন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্যরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ