তুরস্কের ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পাচ্ছেন নোবিপ্রবি শিক্ষা
Published: 11th, March 2025 GMT
তুরস্কের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পাচ্ছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইরাসমাস প্লাস স্টুডেন্ট মোবিলিটি প্রোগ্রামের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়টির তিনজন শিক্ষার্থী এক সেমিস্টার অধ্যায়নের সুযোগ পাবেন। আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আগ্রহী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড কোলাবোরেশান সেন্টারের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
নোবিপ্রবিতে ‘বেস্ট উইমেন রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড’ ঘোষণা
নোবিপ্রবিতে চাইনিজ ভাষা অগ্রাধিকার পাবে: উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- শিভাস ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, অলনিয়া আলাউদ্দিন কায়কোবাদ ইউনিভার্সিটি এবং সাকারইয়া ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নোবিপ্রবি থেকে একজন শিক্ষার্থী এক সেমিস্টার অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন। শিভাস ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও সাকারইয়া ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেসে মাস্টার্স প্রোগ্রাম এবং অলনিয়া আলাউদ্দিন কায়কোবাদ ইউনিভার্সিটিতে অনার্স প্রোগ্রামে ফল সেমিস্টারে এ বছরের জন্য অধ্যায়নের সুযোগ পাবেন তারা। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার শুরু হবে।
শিভাস ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির জন্য নোবিপ্রবির এসিসিই, এগ্রিকালচার, সিএসটিই, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, ইইই ও আইসিই বিভাগের অনার্স সম্পন্ন করা এবং মাস্টার্সের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
অলনিয়া আলাউদ্দিন কায়কোবাদ ইউনিভার্সিটির জন্য এসিসিই, অ্যাপ্লাইড ম্যাথ, বিজিই, ইইই, অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, সিএসটিই, আইসিই, এফটিএনএস ও টিএইচএম বিভাগের অনার্সের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
সাকারইয়া ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেসের জন্য এগ্রিকালচার, ইইই ও টিএইচএম বিভাগের অনার্স সম্পন্ন করা এবং মাস্টার্সের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
আবেদনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৬০, আইএলটিএস স্কোর ৬.০ অথবা টোফেল স্কোর ৫৪৪ থাকতে হবে।
আবেদন ফর্মের সাথে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত সনদ, বিভাগের চেয়ারম্যান/ডিরেক্টর প্রদত্ত রিকমেন্ডেশন লেটার, মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশনের প্রমাণ ও অন্যান্য ডকুমেন্টস (রিসার্চ পেপার,কো-কারিকুলার এক্টিভিটিস) খামে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড কোলাবোরেশান সেন্টারের পরিচালকের কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউন ভ র স ট ন ব প রব র জন য অন র স
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ী হচ্ছেন সবাই
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। আগামী ১৬ এপ্রিল সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে।
আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচনে অংশ নিতে তারা ফরম নিতে পারেননি। ফরম নিতে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানান তারা।
গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ছিল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সবগুলো পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন:
নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার না রাখার কথা ভাবছে ইসি
বাপ ডাইক্কা নির্বাচন দেওন লাগব, বললেন বিএনপির ফজলুর রহমান
মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট তারিক আহমদ জানান, ২১টি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে সবগুলোই উৎরে গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সবাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
মনোননয়ন জমা দেওয়া ২১টি পদের মধ্যে ১৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী মো. সিরু, অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পাঠাগার সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফী বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন এবং সদস্য আহসান উল্লাহ, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, মেজবাহ উল আলম, রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, রাহিলা গুলশান ও সাজ্জাদ কামরুল হোসেন।
সাতটি পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, সহ-সম্পাদক ফজলুল বারী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল জব্বার এবং সদস্য শাহেদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, রোবায়তুল করিম ও মোহাম্মদ মোরশেদ।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী আইনজীবী মো. আবদুর রশীদ লোকমান বলেন, “নির্বাচনে অংশ নিতে আমরা ফরম নিতে পারিনি। দুপুর ও বিকেলে আমরা দুই দফায় সমিতির লাইব্রেরি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছি।”
বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, “আমরা ২১ জন ফরম নিয়েছি। অন্যরা ফরম না নিলে আমাদের তো কিছু করার নেই। তাদের সৎ সাহস নেই। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় যারা ছাত্র-জনতার ওপর লাঠি নিয়ে হামলা করেছিল, তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ