গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সেনাবাহিনীকে তথ্য দিয়ে আসামি ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি রকিবুল ইসলাম আফ্রিদিকে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোরদেশ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আহত সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম আফ্রিদি জানান, বেশ কয়েক দিন আগে টুঙ্গিপাড়ায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে মন্টু মুন্সীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। আজ জামিনে এসে সাংবাদিক রকিবুল ইসলামকে দেখে তথ্য দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে মন্টু মুন্সীসহ আসামিরা তার উপর হামলা চালায়। এসময় রকিবুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করে তারা। 

পরে বাসায় গেলে মন্টু মুন্সীর নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আবারো পিটিয়ে আহত করে। পরে ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ ও খবর শুনে সহকর্মীরা গিয়ে রকিবুল ইসলামকে উদ্ধার করে। 

পরে তাকে মারাত্মক আহতাবস্থায় গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোরশেদ আলম জানান, ঘটনার খবর শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো.

ইমরান শেখ বলেন, “দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম আফ্রিদির উপর যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানাই।”

ঢাকা/বাদল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

হিংসা-বিদ্বেষবিহীন সম্প্রীতির দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, অহিংসবাদ, সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষবিহীন দেশ, এটাই আমরা গড়ে তুলতে চাই। এদেশ সবার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবার এই দেশ। এই সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা বাস করতে চাই।

আজ রোববার সকালে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের ‘সম্প্রীতি ভবন’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত এবং এ জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা করতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ। সমগ্র দেশের সম্প্রদায় সম্প্রতি রক্ষার জন্য যা কিছু করতে হয়, সেটা করতে সদায় প্রস্তুত থাকবো।

ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা সবাই মিলে এই দেশ ও জাতিকে একটা শান্তির জায়গা নিয়ে যেতে চাই। গৌতম বুদ্ধের বাণী এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শান্তির দেশ চাই, শৃঙ্খলার দেশ চাই। আমরা এখানে হানাহানি, বিদ্বেষ চাই না। সবার সমস্ত বিভিন্ন মত থাকতে পারে। অবশেষে আমরা সবাই সবাইকে যেন শ্রদ্ধা করি। একে অপরের বক্তব্য, মতামতকে যেন শ্রদ্ধা করি। আমাদের নিজস্ব মতামত থাকবে সেই অনুযায়ী কাজ করব।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অহিংসবাদ সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষ বিহীন দেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই একসঙ্গে এখানে সুন্দরভাবে বসবাস করব। এই উদ্দেশ্যেই আমরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছি।

সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, আমরা সবসময় এ দেশের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে অত্যন্ত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা একসঙ্গে বাস করি। বাংলাদেশ একটা সম্প্রীতির দেশ। এদেশে হাজার হাজার বছর ধরে সব ধর্ম-বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আমরা শান্তিতে বসবাস করে আসছি। সেটারই একটা প্রতিফলন আজকের এই অনুষ্ঠান। এটা শুধু সম্প্রীতি ভবন ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠান নয়, এখানে আমরা একটা সম্প্রীতির সমাবেশ করেছি। যেখানে সব ধর্ম-বর্ণ গোত্রের লোকজন আছে। আমরা আমাদের দেশটাকে এভাবেই দেখতে চাই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ