সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে গঠিত ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলে’ আইনজীবী প্রতিনিধি রাখার দাবি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। এজন্য এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি রাখার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। 

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিচারক নিয়োগের আইন করার যখন প্রস্তুতি চলছিল, তখনই আইনজীবীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গত ২১ জানুয়ারি যে আইনটা (অধ্যাদেশ) করা হয়েছে, সেটা ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম যে একটি বৈষম্যবিরোধী আইন করা হবে। কিন্তু বৈষম্যমূলক আইন হয়েছে। (হাইকোর্টে) শেষ নিয়োগে দেখা গেছে অনেকেই কোর্টে আসেননি বা ১২/১৪ বছরে তেমন মামলাও করেননি; বিচারপতি হয়ে গেছেন। এটা কাম্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে- সুপ্রিম কোর্ট বার বা বার কাউন্সিলকে যদি ইনভলভ করা হয়, তাহলে আমরা দেখাতে পারব যে- সে আসলে প্র্যাকটিস করে কি না; এবং সেটাই আলোচনায় এসেছিল।’

আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতিকে কাউন্সিলের নেতৃত্বে রাখা নিয়ে প্রশ্ন

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মাহবুব উদ্দিন খোকন আরও বলেন, বিচারকরাও (অধস্তন আদালতের) একটা দাবি জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি বরাবর। তারা ৭০ শতাংশ পদ দাবি করেন। তারা দাবি কীভাবে জানাবেন? সিবিএ নাকি তারা? তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী; আমরা সেটার প্রতিবাদ করেছি। তারা এটা করতে পারেন না। কিন্তু আইন করার সময় দেখা গেল- ঠিকই তাদের বক্তব্যই সঠিক হলো। অথচ আইনজীবীদের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। পাশাপাশি বিচারকদের একজন প্রতিনিধি আছেন, তিনি বিচারক থেকে নিয়োজিত হাইকোর্ট বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক। তিনি এ সময় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক স্বল্পতার প্রসঙ্গ টেনে দ্রুত বিচারক নিয়োগেরও দাবি জানিয়েছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির কার্যনিবার্হী কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির

ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য অধিকতর নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি।

সোমবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. ইয়াহিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরীর পক্ষে পাঠানো বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত ন্যারেটিভের বিরুদ্ধে এখন যেভাবে আঘাত হানা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওপর হামলা এবং এর দলিলাদি ধ্বংসের চক্রান্তের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট তারজেল হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নিরাপত্তা আরও বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত ইতিহাস ও দলিলাদি কেউ ধ্বংস করলে তার দায়দায়িত্ব বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবে এড়াতে পারবে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসলামী ব্যাংকে এস আলম সংশ্লিষ্ট ২৪ পরিচালকের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
  • এখন দুতার্তেকে কী করা হবে
  • শিশু যৌন নিপীড়ন ধাপাচাপা দিতে সাংবাদিককে আইনজীবীর চাপ
  • ইসলামী ব্যাংকে এস আলম–সংশ্লিষ্ট ২৪ শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
  • জামালখানে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, তিন বছর ধরে বিচারের জন্য ঘুরছে পরিবার
  • রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান নিয়ে রুল
  • মাগুরায় শিশু ধর্ষণে জড়িতদের আইনি সহযোগিতা না দেওয়ার ঘোষণা
  • তিন জেলায় ধর্ষণের শিকার তিন স্কুলশিক্ষার্থী
  • মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির