‘জেলের দাগ একবার যার লাগছে, সেই দাগি। সারাটা জীবন’। সংলাপটি শোনা গেলো ঈদে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘দাগি’ সিনেমার টিজারে।  শিহাব শাহীনের সিনেমাটির কথা সিনেমাপ্রেমী প্রায় সবাই জানা। কারণ,  এই সিনেমায় আছেন আফরান নিশো। ফার্স্ট লুক পোস্টারের পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে প্রকাশ পেলো টিজার।

ঈদের সিনেমা হিসেবে ঘোষণা করার পর ‘দাগি’ ছিল দর্শকের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তাই হয়তো আর দেড়ি করলেন না। সিনেমার সম্পূর্ণ কাজ শেষে না হলেও দর্শকের সামনে আনলেন ১ মিনিট ১১ সেকেন্ড টিজার, যেখানে পাওয়া গেছে থ্রিলার ও অ্যাকশনের আভাস।

‘দাগি’ নির্মাতা শিহাব শাহীন সমকালকে বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই সিনেমার শুটিং শেষ করেছে। প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ টিজার মুক্তি দেওয়া হল। শিগগিরিই সিনেমাটি সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে যাবে। এর মাঝেই ভালো দিন দেখে গানগুলো রিলিজ করবো। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে সবাইকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামবো।’

টিজার দেখে অবশ্য দর্শক ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন গল্প নিয়ে। তবে এই সিনেমায় জেল জীবন বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে এগিয়ে যাবে তা অনায়াসেই বলা হয়। আছে প্রেমেরও ছোয়া। 

এছাড়া টিজারে অসহায় নারী রূপে দেখা মিলেছে নায়িকা তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামালকে। তবে হিংস্র মানব হিসেবে একঝলক দেখা দিলেন শহীদুজ্জামান সেলিম।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিজার দেখে শামিম আদনান নামের একজন লিখেছেন, ‘বস সব সময় আগুনের মতন এন্ট্রি নেবে। টিজারের যদি এমন হয়, মুভিটা যেন কি হয় অসাধারণ।’

বিশেষ করে ডায়ালগের কথা বলেছেন অনেকে। মজা করে জেআরএমআর রহিম লিখেছেন, ‘সত্যি, আরফান নিশোর ডায়লগ বাস্তব কথা বলছে, ‘জেলের দাগ একবার লাগলে জীবনটাই বরবাদ।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ নত ন স ন ম

এছাড়াও পড়ুন:

জাফর এক্সপ্রেসে জিম্মি ১০৪ যাত্রীকে উদ্ধার, ১৬ জঙ্গি নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি থাকা ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসময় অভিযানে অন্তত ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।

সর্বশেষ পাওয়া খবরে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, এখনো অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনারা। এর আগে মঙ্গলবার জঙ্গিরা রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।

সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, ব্যালুচিস্তানের বলান জেলায় জাফর এক্সপ্রেসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে জিম্মি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ১৭ জন আহত যাত্রীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। অন্য যাত্রীদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।

জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশওয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।

নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পর, সন্ত্রাসীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যায়। আক্রমণকারীরা তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।

জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে তাদের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং নারী-শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া এলাকার কঠিন ভূ-প্রকৃতি অভিযানকে আরও জটিল করে তুলছে।

আক্রমণকারীরা ট্রেনের উপর আক্রমণ করার আগে রেলপথে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা লোকোমোটিভে গুলি চালিয়েছিল, যার ফলে চালক আহত হন। ট্রেনটি একটি সুড়ঙ্গের ঠিক আগে থেমে যায়। আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একটি দুর্গম, পর্বতাঞ্চলীয় এলাকায় ট্রেনটি তারা দখলে নেয়। ট্রেনটিতে নারী ও শিশুসহ ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলো। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ