নওগাঁ শহরের খলিসাকুড়ি মোড় এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে নওগাঁ-সান্তাহার বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতেরা হলেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতনগ্রাম ইউনিয়নের কোলা পালসা গ্রামের আফাজ উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর স্ত্রী বিলকিস বানু (৫০)।

পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে বিলকিসকে নিয়ে নওগাঁ শহর থেকে মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কোলা পালসা গ্রামের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন তাঁর স্বামী আফাজ। পথে নওগাঁ-সান্তাহার বাইপাস সড়কের খলিসাকুড়ি মোড় এলাকায় মজুমদার অটো রাইস মিলের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে তাঁদের বহনকারী মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আফাজ ও বিলকিস।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি স্বজনদেরও খবর দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

আদমদীঘিতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

বগুড়ার আদমদীঘিতে পৃথক স্থানে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের অস্বভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূ শম্পা বেগম (১৮), বিষাক্ত গ্যাসের ট্যাবলেট সেবনে ভ্যানচালক আব্দুস ছালাম (৩৫) ও ট্রেনে কাটা পড়ে রেল কর্মচারী ছায়ফুল ইসলাম (৩৮) মারা যান। এসব ঘটনায় আদমদীঘি ও সান্তাহার রেলওয়ে থানায় পৃথক অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত শনিবার বিকেলে সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনি এলাকার এনামুল হকের স্ত্রী শম্পা বেগম ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

একই দিন বেলা ১২টার দিকে উপজেলার সুদিন গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুস ছালাম বাড়িতে বিষাক্ত গ্যাসের ট্যাবলেট সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। 

রোববার ছাতিয়ানগ্রাম রেলগেটের কাছে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান রেলওয়ে খালাসি সান্দিড়া গ্রামের ছায়ফুল ইসলাম। তিনি রেললাইনের পাথর টানার কাজ করার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেসে কাটা পড়েন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রেললাইনে কাজ করার সময় পাশের একটি ট্রাক্টরের শব্দের কারণে ট্রেন আসার বিষয়টি বুঝতে পারেননি তিনি। এতে ছায়ফুল ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আদমদীঘি থানার ওসি এস এম মোস্তাফিজুর রহমান ও সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি হাবিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্রামের বাড়ি পৌঁছা হলো না স্বামী-স্ত্রীর, ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত
  • গ্রামের বাড়ি পৌঁছানো হলো না স্বামী-স্ত্রীর, ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত
  • আদমদীঘিতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু