ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি, উদ্ধারের দাবিতে সড়ক অবরোধ
Published: 11th, March 2025 GMT
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল থেকে আড়াই মাস বয়সী একটি শিশু চুরি হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ওই ঘটনা ঘটে।
শিশুটির মা হাসি বেগম অভিযোগ করেন, সোমবার সারা দিন এক অচেনা নারী তাঁদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। পরে ওই নারী তাঁর সন্তানকে চুরি করে পালিয়েছেন।
এদিকে শিশুটি উদ্ধারের দাবিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটির পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন।
নিখোঁজ শিশুটির নাম সায়ান। সে সদর উপজেলার মুন্সিরহাট গ্রামের শিমুল হোসেনের ছেলে। পরিবারের সদস্যরা জানান, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় সায়ানকে রোববার ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে তার মা ও নানির সঙ্গে এক অচেনা নারীর পরিচয় হয়। ওই নারী সারা দিন সায়ানের পরিচর্যায় সহযোগিতায় করেন। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ওই নারীর কাছে সায়ানকে রেখে তাঁরা দুজন পাশের ওয়ার্ডে অন্য এক রোগীকে দেখতে যান। পরে তাঁরা ফিরে এসে দেখেন, সায়ান ও ওই নারী নেই। হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে সায়ানের স্বজনদের হাসপাতালে এসে খোঁজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।
পরে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে দেখা যায়, ওই নারীই শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
সায়ানের মা হাসি বেগম আজ মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, ‘ওই নারী খুব আন্তরিক ছিলেন। যেকোনো কাজে নিজেই এগিয়ে আসতেন। তাই তাঁর ওপর বিশ্বাস জন্মে গিয়েছিল। সায়ানকে তাঁর কাছে রেখে গিয়েছিলাম। কিন্তু সে যে এমন কাজ করবে, বিশ্বাস করতে পারছি না।’
এ ঘটনায় শিশুটিকে উদ্ধারের দাবিতে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তায় অবস্থান নেন স্বজন ও শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তাঁরা সড়কের ওপর বসে পড়েন। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বেলা একটার দিকে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় ইশরাত ফারজানা বলেন, ‘সিসি ফুটেজ দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি ওই নারী কোন পথে কোন জায়গায় শিশুটিকে নিয়ে গেছেন। মুঠোফোন ট্র্যাক করে আমরা তাঁর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’ এরপর অবরোধকারীরা সড়ক থেকে সরে যান।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুর রহমান বলেন, ‘আমরা শিশুটির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটা সুখবর দিতে পারব।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওই ন র ঠ ক রগ অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ছুরি কাঁচির নিয়ে শুয়েও কেন নিজের প্রিয় গান গেয়েছিলেন ফেরদৌস ওয়াহিদ
নন্দিত পপশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তাঁর কিছু গান এখনও শ্রোতাদের মুখে ফিরে। গানই তাঁর জীবন । গানই প্রাণ। অপারেশন টেবিলের ছুরি কাঁচির নিচে শুয়েও তাঁর প্রিয় গান ‘আগে যদি জানতাম/ তবে মন ফিরে চাইতাম/ এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না ও মন রে/ কিসের তরে রয়ে গেলি তুই’– গানটি করেছিলেন এই কন্ঠশিল্পী।
এ প্রসঙ্গে কন্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ আজ দুপুরে সমকালকে বলেন, বলেন, সম্প্রতি আমার পায়ে ছোট একটা অপারেশন হয়েছিল। ওই অপারেশ টেবিলেই আমি গুন গুন করে আমার প্রিয় গান ‘আগে যতিদ জানতাম’ গাইছিলাম। তখন ডাক্তার সাহেবরা বললেন,‘ যদি গাইছেনই আরও একটু জোরে গান। আমাদেরও শোনান’। তখন তাদের অনুরোধেই একটি গান করেছিলাম। এ কারণে তাদের অপারেশনটা করতে তাদের সুবিধা হয়েছিল।’
ওই অপারেশন টেবিলে ছিলেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল ও রিসার্চ ইনষ্টিটিউটের সার্জারি বিভাগের প্রধান সাকলয়েন রাসেল। তার ভাষ্যে, প্রিয় শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ এর অপারেশন [গুরুতর নয়] করছিলাম। তাকিয়ে দেখি তাঁর হার্ট রেট বেশী। তাকে বললাম আপনার প্রিয় একটি গান শোনান। প্রান দিয়েই ‘আগে যদি জানতাম’ গাইলেন গানটি। মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়লো পুরো অপারেশন থিয়েটারে। মজার ব্যাপার হলো ওই গানটি গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার হার্টরেট স্বাভাবিক হয়ে এলো।’