স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুই প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে অনুমোদন
Published: 11th, March 2025 GMT
পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি ও গোপালগঞ্জে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৯০ কোটি ৪০ লাখ ৫ হাজার ৯৭১ টাকা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম সমন্বিত ও টেকসই পৌর পানি সরবরাহ স্যানিটেশন’ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ প্রকল্পের আওতায় ‘ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন ফর ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন ঈশ্বরদী ক্লাসটার টাউন অ্যান্ড খাগড়াছড়ি টাউন’-এ পরামর্শক সেবা ক্রয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের কাছে রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল ইস্যু করা হলে চারটি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দাখিল করে। তার মধ্যে তিনটি প্রস্তাব কারিগরিভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ অনুযায়ী সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) দোহা, (২) দেবকন এবং (৩) আডব্লিউএম-কে নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪৪ কোটি ৪১ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩ টাকা।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাজ হবে খাগড়াছড়ি পৌর পানি সরবরাহ, কুমিল্লা ও ঈশ্বরদী ক্লাস্টারে আটটি পৌরসভায় এবং দেশের উপকূলীয় ২২টি পৌরসভার স্যানিটেশন ব্যবস্থার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প প্রণয়নের প্রস্তুতি।
সভায় ‘গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন’ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ-সংক্রান্ত পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেনদেনিং অ্যান্ড প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট পরামর্শক সেবা ক্রয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠানের কাছে রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল ইস্যু করা হলে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দাখিল করে। তার মধ্যে চারটি প্রস্তাব কারিগরি ও আর্থিকভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসির সুপারিশ করা সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) হাস্কওনিং ডিএইচভি নেদারল্যান্ড বিভি (নেদারল্যান্ডস) এবং (২) দেব কনসালট্যান্ট লিমিটেড বাংলাদেশকে নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪৫ কোটি ৯৮ লাখ ১৭ হাজার ৯২৮ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প র আওত য় মন ত র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কিন ডলারের মান সর্বনিম্নে নেমেছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের জেরে মার্কিন ডলারের মান সর্বনিম্নে নেমেছে। শুক্রবার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই মুদ্রার মান গত তিন বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ পতন হয়েছে।
বিশ্বে মার্কিন ডলারের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের সূচক (ডিএক্সওয়াই) ও মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার মার্কিন ডলারের মান তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মান সাধারণত ডলারের মানের ওপর নির্ভর করে।
মার্কিন ডলারের সূচকে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ডলারের মূল্য কমে ৯৯ দশমিক ০১-এ দাঁড়িয়েছে। যা এক বছরের মধ্যে ডলারের মানের প্রায় ৮ শতাংশ পতনের রেকর্ড।
ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ডলারের মানের বেশি পতন ঘটেছে। ওই দিন বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আমদানি শুল্ক আরোপ করেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপের পর বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থায় ব্যাপক টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়ার শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস শুরু হয়। যদিও পরবর্তীতে চীন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর আরোপিত এই শুল্ক আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
বিদেশি মুদ্রার লেনদেন হয় আলাদা দুটি দেশের মুদ্রায়। উদাহরণস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার ক্রয়। যার ফলে এক দেশের মুদ্রার মান আরেক দেশের মুদ্রার মানের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। যা ‘এক্সচেঞ্জ রেট’ নামে পরিচিত।
বিশ্বের বেশিরভাগ মুদ্রার মানই ওঠানামা করে। যার অর্থ চাহিদা এবং সরবরাহ অনুযায়ী দাম পরিবর্তন হয়ে থাকে। কিছ মুদ্রার মান স্থির। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ডলার একটি নির্দিষ্ট দামে নির্ধারিত। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন ডলারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ডলারের মান নির্দিষ্ট করা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি বাতিল করা হয়
এখন চাহিদা ও সরবরাহ অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মূল্য ওঠানামা করে। মুদ্রা শক্তিশালী হয় বিভিন্ন কারণে। যার মধ্যে অন্যতম হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, পণ্যের চাহিদা ইত্যাদি।