পারিবারিক বিরোধের জেরে সম্প্রতি আলোচনায় আসেন চিত্রনায়িকা পপি। বাবার ছয় কাঠা জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে পপির নামে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার ছোট বোন ফিরোজা পারভিন। পরে পপিও একই থানায় মা, ভাই ও বোনের নামে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ঘটনার পর এক মাস পেরিয়ে গেছে। 

সাধারণ ডায়েরির সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে পপি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। আমার করা সাধারণ ডায়েরি তদন্তাধীন। আইনিভাবেই লড়াই করব। বর্তমানে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অন্যায়ভাবে আমার জমি দখলে রেখেছে। ছয় কাঠা জমির দলিল আমার নামে। সামনের অংশের জমিতে ভাগ পাব। কিন্তু সব কিছু মা-বোনেরা দখলে রেখেছে। সামনে যে ঘর তুলেছিলাম, তা থেকে প্রায় ৬০ হাজার টাকা ভাড়া আসে। সব তারাই নেয়।”

মায়ের বিরুদ্ধে সংসার ভাঙার অভিযোগ এনে পপি বলেন, “নিজের কোনো শখ-আহ্লাদও পূরণ করিনি। নিজের সবটা দিয়ে পরিবারকে দেখেছি। সেই মা আমার স্বামী ও সন্তানকে মিডিয়ায় ছোট করেছে। আমি চেয়েছিলাম সময়-সুযোগ বুঝে স্বামী-সন্তান নিয়ে কথা বলব। কিন্তু খুব বাজেভাবে স্বামী ও সন্তানকে উপস্থাপন করেছে। আমি বিয়ে করে সংসারী হয়েছি। আমার শেষ আশ্রয় যেটা ছিল, যে আমাকে আশ্রয় দিয়েছে; জীবন বাঁচাতে দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু সেই মানুষটাকেও অসম্মান করেছে। সংসার নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এটা পৃথিবীর কোনো মা করতে পারে না। শ্বশুরবাড়ি ফোন করে নানা মিথ্যাচার করেছে। আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য বলেছে। যাদের উপকার করেছি, তারা আমার ক্ষতি করছে। শ্বশুরবাড়িতে যে সম্মানে থাকব তা-ও দিচ্ছে না। প্রতিনিয়ত অসম্মানিত করছে। এ জন্য উঠতে-বসতে কথা শুনতে হয়। বিয়ে করেছি, সামনে আনিনি। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। অন্যায় কিছু করিনি। প্রতিটি মানুষের একট ব্যক্তিগত বিষয় থাকে। আমি চাইনি আমার ব্যক্তিগত বিষয় মিডিয়ায় আসুক।”

আরো পড়ুন:

ওমরা করতে মক্কায় বর্ষা

সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণে বড় পরিবর্তন

ছাড় দিতে দিতে নিঃস্ব হয়ে গেছেন পপি। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “যেহেতু মা, ভাই ও বোনেরা আমার মান-সম্মানের কথা একবারও ভাবেনি এবং আমার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখেনি, তাই আমার প্রাপ্য জমি কখনোই ছেড়ে দেব না। প্রয়োজনে আমার হক এতিমখানা কিংবা মাদ্রাসায় দেব। কিন্তু তাদের আর নয়। কোনো নিমকহারামকে দেব না। আমার ৩০ বছরের কষ্টের মূল্য তারা দেয়নি। আমার সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তাদের এখন ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। অনেক ছাড় দিয়েছি। ছাড় দিতে দিতে এবং পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে করতে আজ আমি নিঃস্ব। আমার কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে কেনা জমি ফেরত পেতে মামলা করব।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

শাপলা চত্বরের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে মামলা, হাসিনা-ইমরানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরসহ সারা দেশে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা (মিস কেস) হয়েছে।

মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

৯ আসামির মধ্যে ৪ জন বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বাকি ৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ মে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ বুধবার এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

যে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তাঁরা হলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার থাকা চার আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান ও পুলিশের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোল‍্যা নজরুল ইসলাম। তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসিকিউশনের পক্ষে আজ শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ