মো. শাহ আলম (৩২), প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের মেড্ডা বাস স্টেশনে লেবুর শরবত বিক্রি করেন। প্রায় ৮ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত তিনি। লেবুর শরবত বিক্রি করেই চলে সাত জনের সংসার।
মো. শাহ আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার পূর্ব মেড্ডার মো. খায়ের মিয়ার ছেলে। স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে এবং বাবা-মা নিয়েই তার সংসার।
শাহ আলম জানান, সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শরবত বিক্রি করেন তিনি। তবে রমজান মাসে বিকেল ৪টা থেকে শুরু করেন, চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। বছরের ৭-৮ মাস শরবত বিক্রি করেন, শীতের সময় গাড়ি চালান। কারণ শীতে মানুষ শরবত খেতে চায় না। শরবত বানাতে লেবু, বরফ, তালমিছরি, চিনি এবং মধু ব্যবহার করেন শাহ আলম।
তিনি জানান, গরম বেশি পড়লে দিনে চার হাজার টাকা পর্যন্ত শরবত বিক্রি হয়। রেগুলার তিন হাজার টাকা। সর্বোচ্চ একদিনে পাঁচ হাজার টাকার শরবত বিক্রি করেছেন তিনি।
শরবত খেতে আসা উত্তর মেড্ডা এলাকার আলমগীর ভূইয়া বলেন, “আমি ঢাকায় চাকরি করি। ঢাকা থেকে বাড়ি এলে এখানে এসে লেবুর শরবত খেয়ে যাই। আমি চার বছর ধরে এখানে শরবত খাচ্ছি। আমার স্ত্রী একদিন এখানে এসে শরবত খেয়েছেন। এরপর থেকে নিয়মিত এখানে শরবত খেতে আসে।”
শরবত খেতে আসা মাছুম মিয়া জানান, তিনি প্রায়ই শরবত খেতে এখানে আসেন। শাহ আলম খুব যত্নসহকারে পরিস্কার পরিচ্ছন্নভাবে শরবত বানিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, “ইফতারের পর এক গ্লাস শরবত শরীরকে সতেজ করে। তার বন্ধুদের নিয়ে ৩-৪ বছর ধরেই শাহ আলমের হাতের শরবত খাই।”
ঢাকা/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শরবত ব ক র শরবত খ ত শ হ আলম র শরবত
এছাড়াও পড়ুন:
পয়লা বৈশাখ বানাতে পারেন আমপোড়া শরবত, দেখুন রেসিপি
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন