দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে প্রায় ৬৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। দরপত্রের মাধ্যমে বাছাই করা মার্কিন কোম্পানি এক্সেলারেট এনার্জি লিমিটেড পার্টনারশিপ (এক্সেলারেট এনার্জি এলপি) এর কাছ থেকে এই পরিমাণ এলএনজি কেনা হচ্ছে।  

২০০৮ সালের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৭ হাজার ৪১০ টাকা।

মঙ্গলবার (১১মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.

সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কমিটির সভায় ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

সভা সূত্রে জানা যায়, পেট্রোবাংলা এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ১৬টি প্রতিষ্ঠানের  কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তিনটি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে যুতসই হয়।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স এক্সেলারেট এনার্জি এলপি, আমেরিকা এই এক কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৪ দশমিক ৩০ মার্কিন ডলার হিসাবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে ব্যয় হবে ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৭ হাজার ৪১০ টাকা। এক কার্গো এলএনজি সমমান ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ।

১৫ বছরের জন্য এলএনজি কিনতে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেলারেট এনার্জির সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। এর ফলে মার্কিন কোম্পানিটির কাছ থেকে প্রতি বছর ১০ লাখ টন এলএনজি কেনার পথ খুলে যায়।

ঢাকা/হাসনাত/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এক ক র গ দরপত র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়ানোর কথা জানাল বহুজাতিক তিন প্রতিষ্ঠান

তিনটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়ানো ও বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে স্পেনের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিটেক্স, সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম ও চীনের অ্যাপারেল কোম্পানি হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ।

রাজধানী ঢাকায় চার দিনের বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা দেখতে আগামী মাসে ২০০ বিনিয়োগকারীসহ বাংলাদেশ সফরে আসার কথা জানিয়েছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী।

বিডার আয়োজনে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫’ শীর্ষক চার দিনের বিনিয়োগ সম্মেলন গত সোমবার শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার সম্মেলনের শেষ দিন। এই সম্মেলনে বিশ্বের ৫০টি দেশের ৫৫০ জনের বেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, চীনের তৈরি পোশাক কোম্পানি হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে। তারা অর্থনৈতিক অঞ্চলে টেক্সটাইল ও ডাইং খাতে ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে পোশাকশিল্পে ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এ লক্ষ্যে আজ বিডা ও হান্ডা (ঢাকা) টেক্সটাইল কোম্পানি একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ইনডিটেক্স ও হোলসিম গ্রুপের শীর্ষ নির্বাহীরা সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ইনডিটেক্সের কর্মকর্তারা তাঁদের জন্য বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ (পণ্য) সরবরাহকারী হিসেবে উল্লেখ করে এখান থেকে পণ্য নেওয়ার পরিমাণ আরও বাড়ানোর কথা জানায়। হোলসিমের কর্মকর্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কার্বন ক্যাপচার প্রকল্প চালুর কথাও জানায়।

এক প্রশ্নের জবাবে আশিক চৌধুরী জানান, আগামী মাসে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী প্রায় ২০০ জন বিনিয়োগকারী নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। তাঁরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান। পর্যাপ্ত সহায়তা দিতে পারলে তাঁরা দ্রুত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

দুবাইভিত্তিক বৈশ্বিক সরবরাহ ও বন্দর উন্নয়ন কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ সময় ডিপি ওয়ার্ল্ড প্রধান চট্টগ্রামের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানান বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন দেশের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি বিনিময় ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্বের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

এ ছাড়া টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিডা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) একটি অভিপত্র সই করেছে বলে জানান আশিক চৌধুরী।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘বিনিয়োগ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাংলাদেশকে নিয়ে এত দিন ধরে যে নেতিবাচক প্রচারণা চলে আসছে, সেটিকে ইতিবাচক করা। বিনিয়োগ সম্মেলনে যেসব ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী এসেছেন, তাঁরা এখানে শ্রমঘন শিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। আমরাও এই দিকটিকে গুরুত্ব দিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত
  • যুক্তরাষ্ট্র-চীন শুল্কযুদ্ধে কতটা বাড়বে আইফোনের দাম
  • রংপুরে পাইপলাইনে গ্যাস কতদূর
  • গরমে লোডশেডিং হলে আগে ঢাকায় হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
  • ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য: ভারতীয় নাগরিক ও তাঁর চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
  • রোগা গরু সরবরাহ, তোপের মুখে বিতরণ স্থগিত
  • কৃষির উন্নয়নে প্রয়োজন প্রযুক্তিগত সহযোগিতা
  • এবার রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার যে কারণে নিয়ন্ত্রণে ছিল
  • বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়ানোর কথা জানাল বহুজাতিক তিন প্রতিষ্ঠান
  • কুষ্টিয়ায় চালকলমালিক নেতার বাড়িতে গুলি: অভিযোগের তির বিএনপি নেতার দিকে, নেপথ্যে হাটের ইজারা