নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের কাজ শেষ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

আজ মঙ্গলবার কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারকে এ কথা জানিয়েছেন। কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। কমিশনের সহসভাপতি কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে ইইউ রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

এ সময় ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার কমিশনের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাইকেল মিলার বলেছেন, বর্তমান সংস্কার কার্যক্রমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এ ছাড়া ইইউ রাষ্ট্রদূত কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ত য় ঐকমত য

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য আগামী বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি করা: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, আগামী বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি করাই ঐকমত্য কমিশনের অন্যতম লক্ষ্য। তাঁরা আশা করছেন, সবার সঙ্গে অব্যাহত আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে। এরই অংশ হিসেবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।

আজ বিকেলে নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুল চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেয়। ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘স্বাধীনতা–উত্তর সময়ে এই প্রথম রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে আমরা একটি পথ-পদ্ধতি তৈরি করার সুযোগ পেয়েছি। এ দেশের গণমানুষের সংগ্রামের কারণে যা সম্ভবপর হয়েছে।’

অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ১৫ জুলাই। এই মেয়াদের মধ্যে কাজ সম্পাদন করতে চায় কমিশন।

নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর চৌধুরী বলেন, নাগরিক ঐক্য ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১৪টিতে একমত, ১১টিতে আংশিক একমত এবং বাকিগুলোতে একমত হতে পারেনি।

সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে এই আলোচনা চলছে। এর ভিত্তিতে তৈরি করা হবে জুলাই সনদ।

এখন পর্যন্ত ৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল বুধবার বিকল্পধারা এবং গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশের নাম ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ চায় ইসলামী আন্দোলন
  • সংস্কার প্রস্তাবনার ওপর মতামত জানাল ইসলামী আন্দোলন
  • ‘পিপল ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
  • গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবের কর্মচারী ইউনিয়নের মানববন্ধন 
  • ১৯ বার বৈঠকের পর জোট গঠনে ঐকমত্য
  • ঐকমত্য কমিশনে বিকল্পধারা বাংলাদেশ ও গণঅধিকার পরিষদের মতামত
  • সংস্কার নিয়ে মতামত দিল আরও দুই দল
  • এনসিপির সঙ্গে হেফাজতের বৈঠক, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐকমত্য
  • মাগুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ ৯ জন আটক
  • ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য আগামী বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি করা: আলী রীয়াজ