এপ্রিলে-মে মাসে শ্রীলঙ্কা সফর করবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ছয় ওয়ানডে খেলতে যাবে বাংলাদেশের যুবা দল। ২৪ এপ্রিল এই সফর শুরু হবে। শেষ হবে ৮ মে। ছয় ওয়ানডের প্রতিটিই হবে হাম্বানটোটা স্টেডিয়ামে।
২৪ এপ্রিল একটি ওয়ার্মআপ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডে শুরু হবে ২৬ এপ্রিল। এরপর ২৮ এপ্রিল দ্বিতীয় ম্যাচ। শেষ চার ম্যাচ হবে যথাক্রমে ১, ৩, ৬ ও ৮ মে। আগামী বছর জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়াতে হবে অনূধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। এর আগে নিয়মিত ক্রিকেটারদের সফর পাঠাবে বিসিবি। সঙ্গে ঘরের মাঠেও আয়োজন করবে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। অনূর্ধ্ব-১৯ দল এখন সিলেটে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করছে।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলে, আইপিএল খেলবেন স্যান্টনার-রাচিনরা
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেরা একাদশে ভারতের ৫, নিউ জিল্যান্ডের ৪, আফগানিস্তানের ২
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমরা অনির্বাচিত এই কথা কে বলল: ফরিদা আখতার
অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা এই সরকারকে নির্বাচিত করেছে, গঠন করছে। কাজেই এই সরকারের দায়িত্ব হলো ছাত্র-জনতার চাহিদা মেটানো।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অনির্বাচিত এই কথা কে বলল। আমাদেরকে তো এ ছাত্ররা, জনতা—যারা নাকি এই পরিবর্তনটা এনে দিয়েছে, তারাই রাষ্ট্র গঠন করেছে, তারাই সরকার গঠন করেছে, তাদের দ্বারা নির্বাচিত আমরা। কাজেই আমাদের দায়িত্ব হলো তাদের যে চাহিদা, সেটা মেটানো।’
আজ শনিবার রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত শাহ আলী মাজারে ‘গণমানুষের জাগ্রত জুলাই’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুর এ আয়োজন করে।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা বা যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের পরিবার কেউ বলেনি এই অভ্যুত্থানে যোগ দিয়ে তাঁরা ভুল করেছেন। তাঁরা একটাই কথা বলেছেন, তাঁরা শেখ হাসিনার বিচার এই মাটিতে এই সরকারের আমলেই দেখতে চান। উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র কাজ যদি কিছু থাকে, সেটা হবে শেখ হাসিনা এবং যারা এই হত্যাকারী, তাদের বিচার করা। এটাতে কোনো রকম ভুলত্রুটি হতে পারবে না। বিচার আমাদের করতেই হবে।’
বিচারের বিষয়ে ফরিদা আখতার আরও বলেন, ‘যতবারই আমি ওদের কথা (আহতদের) শুনি, ততবারই আমার কাছে মনে হয় যে এটা আমাদের বারবার প্রতিজ্ঞার মতো নিতে হবে,...বিচার যদি হয়, ওরা অন্তত শান্তি পাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, জুলাইকে অবশ্যই ধারণ করতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধকে যেভাবে ধারণ করি, ঠিক একইভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পাওয়া স্বাধীনতার প্রতি আমাদের অবশ্যই কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার।
অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মিরপুরে শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসান, শহীদ মো. আকরাম খান রাব্বির বাবা মো. ফারুক খান, শহীদ গোলাম নাফিসের বাবা গোলাম রহমান, শহীদ ইমাম হোসেন তাইয়েমের ভাই রবিউল আউয়াল ও শহীদ আহনাফের মা জারতাস পারভীন।
শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, এখনো বিচারের কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। বিচারের নামে প্রহসন চলছে। এখন অনেক জায়গায় মামলা নেওয়া হয় না। উল্টো বিচার চাইতে গেলে শহীদ পরিবারের সদস্যরা হেনস্তার শিকার হন। দ্রুত গণহত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন তাঁরা।
অনুষ্ঠানে গরিব-অসহায় ব্যক্তিদের জন্য মেডিকেল ক্যাম্প, জুলাইয়ের গ্রাফিতি, আন্দোলনের ছবি ও খবরের কাগজ প্রদর্শনী, কবিতাপাঠ, জুলাই আন্দোলনে আহত, সম্মুখসারির যোদ্ধাদের স্মৃতিচারণা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, ভাবগানের আসর ও বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুরের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ রোমেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আকিজ ইনসাফ গ্রুপের সিএমও শফিকুল ইসলাম, জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুরের সদস্য তৌফিক হাসান, উদয় হাসান, সিলমী সাদিয়া প্রমুখ।