ঢাকার রাশিয়ান হাউজে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন
Published: 11th, March 2025 GMT
উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকার রাশিয়ান হাউজে উদযাপন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
ঢাকা রুশ ভবনে সোভিয়েত বা রুশ প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠনের সাথে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত ৬ মার্চ এক আনন্দঘন সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। উষ্ণ পরিবেশে ১০০-র বেশি অতিথি একত্রিত হয়ে এই বসন্ত উৎসবে নারীদের শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে ৫০ জন নারীকে ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজের পক্ষ থেকে স্মরণীয় ক্রেস্ট এবং ফুল উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়, যা ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সংস্কৃতি এবং শিক্ষার বিকাশে তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
রাশিয়ায় ব্যাপক ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
কুরস্কে আরো ৩ এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি রাশিয়ার
এ বছর এই অনুষ্ঠান পবিত্র রমজান মাসে হওয়ায় ঢাকার রাশিয়ান হাউজ একটি সম্মিলিত ইফতারের আয়োজন করে।ধর্ম নির্বিশেষে অতিথিরা ঐতিহ্যবাহী খাবার উপভোগ করেন। যা ঐক্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনাকে আরো সুদৃঢ় করে।
অনুষ্ঠানটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে অব্যাহত থাকে, যেখানে নতুন সাংস্কৃতিক উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। যা শিক্ষা, শিল্প এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও রাশিয়াকে আরো ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করবে বলে আশা করা হয়।
ঢাকা/হাসান/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত
প্রকৃতি থেকে বসন্ত বিদায় নিচ্ছে। আসছে গ্রীষ্ম। বসন্তের বিদায়বেলায় বিস্তৃত সবুজ শাল-গজারি বনে বাসন্তী রং ছড়াচ্ছে হলদে শাল-গজারি ফুল। গাজীপুরের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে এখন বসন্তের এই রং উৎসব চলছে। বিশেষ করে শ্রীপুর, গাজীপুর সদরের একাংশ, কাপাসিয়ার একাংশ ও কালিয়াকৈর উপজেলার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চলছে এই রঙের উৎসব।
শ্রীপুরের কর্ণপুর থেকে বরমী কিংবা হায়াতখার চালা থেকে গোসিংগা আঞ্চলিক সড়কের মতো অনেকগুলো সড়ক ভ্রমণ এখন যে কাউকে এক ব্যতিক্রমী বসন্তের অভিজ্ঞতা দেবে। বিশেষ করে এ সময় মাওনা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলায় যাতায়াতের সড়কপথের পুরোটাই ফুলে ছেয়ে থাকে। এসব সড়কে ভ্রমণ করলে দেখা যায়, দুই পাশে শুকনা পাতার ওপর ছড়িয়ে আছে কাঁচা হলুদ রঙের শাল-গজারি ফুল। সঙ্গে আছে মোহনীয় গন্ধ।
শাল-গজারি বনের কোনো একটি গাছের মাথায় উঠে চারদিকে তাকালে মনে হবে, বনের গাছপালার ওপর কেউ যেন হলুদ রঙের মাদুর বিছিয়ে রেখেছে। ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছিসহ নানা কীটপতঙ্গ। পাখিদের ওড়াউড়িতে বনজুড়ে যেন এক মহোৎসব চলছে। পাখির ডানা ঝাপটানো কিংবা হঠাৎ একটু দমকা বাতাসে গাছ থেকে নিচে ঝরে পড়ে হলুদ শাল-গজারি ফুল। বসন্তে গাছের সব পাতা ঝরে যাওয়ার পর গাছে থাকা হলুদ ফুলগুলো এক অনন্য সৌন্দর্য ছড়ায়।
প্রতিবছর বসন্তের মাঝামাঝি থেকে শাল-গজারিগাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। এরপর গাছ থেকে অপরিণত অবস্থায় বেশির ভাগ ফুল নিচে ঝরে পড়ে। থেকে যাওয়া ফুলগুলো বড় হয়। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এসব ফুল পরিণত হয়ে যায়। তখন এর রং হয় কিছুটা বাদামি।
পরিণত ফুলের আবার অন্য রকম সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য আছে। এসব ফুলের এক পাশে থাকে বীজ। আর অন্য পাশে ফুলের পাপড়ির মতো ছড়ানো বড় বড় পাতলা পাপড়ি। একসময় গাছ থেকে বীজসহ এসব ফুল ঝরে পড়ে। তখন বীজের এক পাশে থাকা পাপড়ির মতো অংশ বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে এলোমেলোভাবে দূরদূরান্তে বীজগুলোকে ছড়িয়ে দেয়।
বসন্তের এ সময় শাল-গজারি বনে বিভিন্ন ফুল ফোটে। এগুলোর মধ্যে আছে কনকচাঁপা, জারুল, শিমুল, শেফালি, শিরীষ, মান্দার, কামিনী, অতসী, দাঁতরাঙা, কাঞ্চন, বেলি, শটি, রঙ্গনসহ নানা ফুল।
শাল-গজারি বনের বর্ণিল বিভা বসন্তের সৌন্দর্যে যোগ করে নতুন মাত্রা