রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের শপথ পাঠ করানো কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

এর আগে গত সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়েজীর পক্ষে রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এ রিটটি দায়ের করা হয়। রিটে রাষ্ট্রপতিকে দেশের প্রধান বিচারপতি শপথবাক্য পাঠ করাবেন বলেও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক। 

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনতার পর প্রণীত বাহাত্তরের সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির শপথ পড়ানোর বিধান রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান সংযুক্ত করা হয়। এজন্য রিটে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি শপথ পড়াবেন মর্মে নির্দেশনা চাওয়া হয়। হাইকোর্ট রুল জারি করে এ বিষয়ে বিবাদীদের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত শপথ স প ক র র শপথ প র ষ ট রপত ক ব চ রপত

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। একুশে পদকপ্রাপ্ত পল্লীকবি ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ ৭৩ বছর বয়সে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ওই দিনই তাঁকে ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর গোবিন্দপুর গ্রামের পৈতৃক বাড়ির আঙিনায় সমাহিত করা হয়। 

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন এবং জসীম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ সকাল ১০টায় শহরের গোবিন্দপুর এলাকার পৈতৃক বাড়ির আঙিনায় কবির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। এ ছাড়া কবির প্রতিষ্ঠিত আনসারউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবির সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। 

প্রসঙ্গত, ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামের মাতুলালয়ে জসীম উদ্‌দীন জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে লেখা তাঁর ‘কবর’ কবিতাটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হলে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। ‘নিমন্ত্রণ’, ‘আসমানী’ তাঁর বহুল পঠিত কবিতাগুলোর অন্যতম। 

এ ছাড়া মধুমালা, বেদের মেয়ে, সোজন বাদিয়ার ঘাট, নকশী কাঁথার মাঠ, ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়, বাঙালির হাসির গল্প প্রভৃতি লেখায় মানুষের হাসি-কান্না, আশা-আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে গ্রামবাংলার শাশ্বত রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ